—প্রতীকী চিত্র।
সদ্য মা হয়েছে আদরের পোষ্য। একসঙ্গে জন্ম দিয়েছে ন’সন্তানের। তাতে আহ্লাদে ডগমগ হয়ে তাদের জন্য ষষ্ঠীপুজো করলেন পোষ্যের মালকিন। মানবসন্তানের জন্মের ষষ্ঠ দিনে যেমন মা এবং সন্তানের মঙ্গলকামনায় দেবী ষষ্ঠীর পুজো করা হয়, নিয়ম মেনে ঠিক তেমন ভাবেই পোষ্য এবং তার সন্তানদের জন্য পুজোর আয়োজন করলেন তিনি। সঙ্গে নিমন্ত্রণ করলেন পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনদেরও। লক্ষাধিক অর্থ খরচ করে শ’চারেক অতিথিকে চর্বচোষ্য করে খাওয়ানো হয়েছে তাঁদের। ছিল ভরপুর মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও। পোষ্য প্রেমের এমন নিদর্শন দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। যিনি এই কাণ্ডটি ঘটিয়ে গোটা রাজ্যে হইচই ফেলে দিয়েছেন, তাঁর নাম রাজকালি। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায়। রাজকালির বিশেষ নিমন্ত্রণের কথা জানাজানি হওয়ার পর তিনি সংবাদ সংস্থা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর পোষ্য তাঁর কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই তার সন্তানপ্রসবের আনন্দকে উদ্যাপন করতেই ঢালাও ‘দাওয়াত’-এর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
পোষ্য বলতে এক দিশি কুকুর। তার নাম চাটনি। রাজকালি জানিয়েছেন, যে দিন থেকে চাটনি তাঁর জীবনে এসেছে তার পারিবারিক সম্পর্ক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। কিছু দিন আগেই তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিল চাটনি। তবে এ বার সে ন’টি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। রাজকালি এই আনন্দকেই সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন।
সাধারণ মানবসন্তানের জন্মের ষষ্ঠ দিনে শিশু এবং মায়ের কল্যাণে ষষ্ঠীপুজো করা হয়। চাটনির সন্তান প্রসবেরও ষষ্ঠ দিনে রেওয়াজ মেনে ষষ্ঠীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পুজোয় নিমন্ত্রণ ছিল চারশো অতিথির। তাঁদের নানারকম লোভনীয় নিরামিষ পদে আপ্যায়নের পাশাপাশি ‘পার্টি’তে নাচাগানার বন্দোবস্তও ছিল। পেশাদার শিল্পী এনে সাজানো হয়েছিল জলসা। চাটনির ষষ্ঠীপুজোয় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছেন রাজকালি। ব্যাপার দেখে থ সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy