রোড শো চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির দিকে উড়ে আসে মোবাইল। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গাড়ির দিকে তাক করে ছুড়ে মারা হয়েছে মোবাইল ফোন। তবে এর নেপথ্যে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না, তেমনটাই জানাল কর্নাটক পুলিশ।
কর্নাটক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির দিকে যে মোবাইলটি উড়ে এসেছিল, সেটি এক মহিলার। তিনি বিজেপি কর্মীও বটে। পুলিশের ধারণা, অসৎ ইচ্ছা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ফোন ছোড়া হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের মনে হচ্ছে, ফোনটি মহিলার হাত থেকে ছিটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিররা ফোনটি ফেরত দেন ওই মহিলাকে। তবে পুলিশ তাঁর সন্ধান পায়নি। ওই মহিলার খোঁজ মিললে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে বলে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অলোক কুমার জানিয়েছেন।
কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আগামী ১০ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। তার আগে রবিবার সে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রোড শো-ও করেন। মাইসুরুতে রোড শো চলাকালীনই মোদীর গাড়ি লক্ষ্য করে মোবাইল ছোড়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষ একটি গাড়িতে চড়ে হাত জনতার দিকে নাড়তে নাড়তে এগোচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। তাঁকে দেখতে গাড়ির চার দিকে ভিড় জমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভিড়ের মধ্যে থেকে হঠাৎ উড়ে আসে একটি মোবাইল ফোন। ফোনটি মোদীর গায়ে লাগেনি। গাড়ির সামনের দিকে গিয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরাই ফোনটি উদ্ধার করে মহিলাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন আবার। মহিলার খোঁজ করছে পুলিশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্নাটকেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। সে বার হুবলিতে জাতীয় যুব উৎসবে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন মোদী। বিমানবন্দরে নেমে কর্মসূচিস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়েছিলেন। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পাশ দিয়ে ছুটছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই নিরাপত্তা বলয় টপকে মোদীকে মালা পরাতে তাঁর একেবারে কাছে পৌঁছে যান এক যুবক।
প্রধানমন্ত্রী হাতে মালাটি নিয়ে এক রক্ষীকে দিয়ে দেন। ওই ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রবিবার মাইসুরুর ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-র ভূমিকা নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy