প্রতিদিনের মতো বুধবার দুই সঙ্গীর সান্ধ্যকালীন ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের স্কুলশিক্ষক দানিশ রাও। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যখন তাঁরা পৌঁছোন, তখন রাত ৮টা ৫০। বাইকে করে দুই যুবক এলেন। শিক্ষক এবং তাঁর সঙ্গীদের পথ আটকে দাঁড়ালেন যুবকেরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষককে ঘিরে ধরলেন দু’জন। তার পর অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করলেন। তাঁদের এক জন হুমকি দিয়ে বললেন, ‘‘এত দিন আমাকে চিনিসনি। এ বার জানতে পারবি আমি কে।’’ এই কথা বলেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শিক্ষক দানিশের মাথা লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি চালালেন ওই যুবক। দু’টি গুলি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।
শিক্ষককে গুলি করার পরই হামলাকারী দুই যুবক পালিয়ে যান। শিক্ষকের দুই সঙ্গীই পুলিশকে খবর দেন। দানিশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের কাছে এই হামলা হয়। আততায়ীদের খুঁজে বার করতে পুলিশ ছ’টি দল গঠন করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন শিক্ষককে খুন করা হল, নেপথ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এবিকে হাইস্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক ছিলেন দানিশ। ১১ বছর শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। দানিশের দাদাও ওই স্কুলের শিক্ষক। তিনি আবার একজন রাজনীতিকও। দানিশের শ্বশুর কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক। বুলন্দশহরের বাসিন্দা দানিশের মা-ও শিক্ষকতা করতেন।