Advertisement
E-Paper

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা কোর্টে

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায়, শেষে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক যুবক। করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিত্সক শান্তনু দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন করিমগঞ্জ জেলার কানাইবাজারের রাতুল দেবনাথ। ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাতুলবাবুর দাবির, সে জন্যই তাঁর স্ত্রী মাম্পি দেবনাথের মৃত্যু হয়েছে। করিমগঞ্জের এসিজেএমের আদালত ২৩ জুন শান্তনুবাবুকে এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৫ ০৩:২৭

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায়, শেষে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক যুবক। করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিত্সক শান্তনু দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন করিমগঞ্জ জেলার কানাইবাজারের রাতুল দেবনাথ। ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাতুলবাবুর দাবির, সে জন্যই তাঁর স্ত্রী মাম্পি দেবনাথের মৃত্যু হয়েছে। করিমগঞ্জের এসিজেএমের আদালত ২৩ জুন শান্তনুবাবুকে এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

করিমগঞ্জের সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে একাংশ চিকিত্সকের দেখা মেলে না। সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অনেক আসন্নপ্রসবা মহিলার অস্ত্রোপচার শহরের নার্সিংহোমে করানোর নজির রয়েছে।

রাতুলবাবুর আইনজীবী হীরক দত্তের দাবি, চিকিত্সক শান্তনুবাবু প্রতি মাসেই মাম্পিদেবীর শারীরিক পরীক্ষা করতেন। গত ১৬ মার্চ পেটে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাতে মাম্পিদেবীর শরীর আরও খারাপ হলে খবর দেওয়া হয় শান্তনুবাবুকে। অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে যাননি। প্রসূতি বিভাগের নার্সের তত্পরতায় মাম্পিদেবী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। পরের দিন শান্তনুবাবু হাসপাতালে গিয়ে মাম্পিদেবীকে পরীক্ষা করেন। অভিযোগ, সুস্থ না হলেও চিকিত্সক ১৯ মার্চ মাম্পিদেবীকে হাসপাতাল থেকে ‘রিলিজ’ করে দেন। বাড়িতে ফেরার কয়েক দিন পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তাঁকে শিলচরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। চিকিত্সকরা সেলাই কেটে তাঁর শরীর থেকে তুলা, কাপড় সহ কিছু বর্জ্য পদার্থ বের করেন। ৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে রাতুলবাবু রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালকের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এর পরই তিনি আদালতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেন।

Karimganj Youth filed Doctor hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy