তীব্র ঝাঁকুনিটাই কি শাপে বর হল? এমনই বলছেন লাইন থেকে ছিটকে যাওয়া ডিমাপুর-কামাখ্যা বিজি এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অনেকেই।
রেল সূত্রের খবর, গত রাত আড়াইটের সময় ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে একটি জলাশয়ে। সেখানে জল কম থাকায় প্রাণহানি ঘটেনি। কিন্তু জখম হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, আজুরি স্টেশন ছাড়ার পরেই, ট্রেনটি ঝাঁকুনি দিয়ে চলছিল। তার জেরে অনেকের ঘুম ভেঙে যায়। তাঁদের মনে হচ্ছিল ট্রেন লাইন থেকে ছিটকে পড়বে। আর সেটাই সত্যি হল।
আজুরি আর জাগী রোডের মধ্যবর্তী টেঘেরিয়ায়, বিজি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং ১০টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে পাশের অগভীর জলাশয়ে। নরম মাটি ও জলে কামরাগুলি উল্টে যাওয়ায় প্রাণহানি হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। শিশু, বৃদ্ধদের কামরা থেকে টেনে বের করে, লাইনের পাশেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বক্তব্য, ৩২ জন জখম যাত্রীর চিকিৎসা হয়েছে। বাকিদের আঘাত গুরুতর নয়। জখম যাত্রীদের বিশেষ ট্রেনে মালিগাঁও রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার জেরে কামরাগুলির নীচে থাকা যন্ত্রাংশ, চাকার কাঠামো টুকরো-টুকরো হয়ে ভেঙে যায়। স্লিপার কামরাগুলি এ দিকে ও দিকে ছড়িয়ে যায়। ১০টি বগি লাইন থেকে অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে।
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? লাইনচ্যূত হওয়ার আগে ট্রেনটি কাঁপছিল কেন? রেলের বক্তব্য, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই কারণ জানা যাবে। আপাতত লাইন মেরামত করার কাজ চলছে। দুর্ঘটনার পর উজানি ও নামনি অসমের মধ্যে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ সকাল ৭টায় গুয়াহাটি পৌঁছনোর কথা ছিল ডিব্রুগড়-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের। সেটি লামডিং স্টেশনে আটকে রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে আপ ও ডাউন জনশতাব্দী-সহ একাধিক ট্রেন।