Advertisement
E-Paper

জঙ্গিনেতার হুমকি পেয়েই পড়ুয়াদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়

চার মাস ধরে পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনে যে কাজ হয়নি, মাওবাদী নেতার চিঠিতে ২৪ ঘণ্টায় তা হাসিল হল! বিএড পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য কয়েকটি কলেজ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছিল আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নালিশ জানালেও এ নিয়ে তৎপর হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ও।

স্বপন সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৭

চার মাস ধরে পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনে যে কাজ হয়নি, মাওবাদী নেতার চিঠিতে ২৪ ঘণ্টায় তা হাসিল হল! বিএড পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য কয়েকটি কলেজ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছিল আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নালিশ জানালেও এ নিয়ে তৎপর হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ও।

এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে গেল।

গত কাল মাওবাদীদের এক আঞ্চলিক কম্যান্ডারের স্বাক্ষরিত চিঠি মুজফ্ফরপুর-স্থিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দেওয়ালে ঝুলতে দেখা যায়। উপাচার্যকে উদ্দেশ করে তাতে হুঁশিয়ারির সুরে লেখা ছিল, বিএড পাঠ্যক্রম নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে ফল ভাল হবে না। একই চিঠি পাওয়া যায় ‘অভিযুক্ত’ কলেজগুলিতেও। আজ তড়িঘড়ি তিন জনের কমিটি গড়ে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

কী লেখা ছিল জঙ্গিনেতার চিঠিতে? মুজফ্ফরপুরের ছাত্র সংগঠনের নেতা মুকুল শর্মা বলেন, “মাওবাদীদের আঞ্চলিক কম্যান্ডার লখিন্দ্র সাহনির স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে লেখা ছিল দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কর্তৃপক্ষ তার ফলাফলের জন্য দায়ী থাকবেন।”

জঙ্গিনেতার চিঠির কথা সরাসরি স্বীকার করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্তা। তবে জেলার এসএসপি রঞ্জিৎ মিশ্র বলেন, “আমাদের কাছে এমনই খবর এসেছে। কিন্তু এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের নিজস্ব সমস্যা।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানাকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজির্স্টার ভি কে শুক্লা এ দিন বলেন, “আবেদনকারীদের তালিকা এবং অন্য নথি মার্চ মাসের মধ্যে আমাদের কাছে পাঠানোর জন্য কলেজগুলির অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ মার্চের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্টও জমা পড়বে।”

বি এডে আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, মুজফফ্রপুরের দু’টি এবং পূর্ব চম্পারণ ও বৈশালীর একটি করে কলেজ ওই পাঠ্যক্রমে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। তার জন্য রসিদও মিলছে না। চার মাস ধরে পড়ুয়ারা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন। বিষয়টি বিহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। অজয় কুমার নামে এক ছাত্র বলেন, “কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওই তরফ থেকে কোনও সাড়া পাইনি।”

bihar university swapan sarkar patna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy