মুম্বইয়ের শক্তি মিলসে টেলিফোন অপারেটর তরুণীর গণধর্ষণে যে চার জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল, তাদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আজ বারবার একই অপরাধ করার চার্জ গঠন করল আদালত। নয়া ধর্ষণ আইন অনুযায়ী, একাধিক বার ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। মহম্মদ কাসিম বাঙালি, বিজয় যাদব, মহম্মদ সালিম আনসারি এই তিন অপরাধীকে প্রথম মামলায় ইতিমধ্যেই আজীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল দায়রা আদালত। অতিরিক্ত চার্জ গঠনের পরে এ বার তাদের সাজার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বছর ৩১ জুলাই পরিত্যক্ত শক্তি মিলস চত্বরে বছর আঠারোর তরুণী এক টেলিফোন অপারেটকে ধর্ষণ করে চার যুবক। তার এক মাস কাটতে না কাটতে ২৩ অগস্ট ওই একই জায়গায় ধর্ষিতা হন বাইশ বছরের চিত্রসাংবাদিক। দু’টো মামলাই এত দিন চলছিল বিচারক শালিনী ফেনসালকর জোশীর এজলাসে। মাত্র সাত মাসের মধ্যে মামলা দু’টোর ফয়সালা করে ফেলেছে আদালত।
তিন দিন আগেই প্রথম মামলাটিতে অপরাধীদের সাজা শুনিয়েছিল আদালত। চিত্র সাংবাদিক গণধর্ষণ মামলারও শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল সেই দিন।
কিন্তু টেলিফোন অপারেটর তরুণীকে ধর্ষণে চার অপরাধীর রায় বেরোনোর পরই বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আর্জি জানান, যে হেতু বিজয়, কাসিম আনসারি এই তিন দোষী দু’টি ঘটনাতেই জড়িত তাই তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জ আনতে চান তিনি। এমনিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধর্ষণে যে কড়া আইন চালু হয়েছে, তাতে অবশ্য বলা আছে, দ্বিতীয় বার ধর্ষণের মতো অপরাধ করলে ফাঁসি পর্যন্ত হতে পারে (৩৭৬ ই)।
সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকমের অতিরিক্ত চার্জ গঠনের এই আবেদন আজ মেনে নিয়েছেন বিচারক জোশী। শুনানির মধ্যেই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানান, মাঝ পথে এই অতিরিক্ত চার্জ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টে যাবেন তাঁরা। তাই এই মামলায় স্থগিতাদেশও চান তাঁরা। বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে সোমবার বলেন, এই মামলা চলাকালীনই হাইকোর্টে যেতে পারেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy