মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি তিনি ছাড়ছেন না। বরং বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার তথা বিজেপি-র কাছে নতুন করে দাবি জানিয়েছেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের নতুন সরকারকে অভিনন্দন। তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক।”
সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আজ দিল্লিতে, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নীতীশ পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝিকে। জিতনরাম দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে পুরনো জোটসঙ্গী জেডিইউয়ের সম্পর্কের তিক্ততা মেটানোর চেষ্টা করব। বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদা ও আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানাব নতুন সরকারের কাছে।”
এই প্রত্যাশা পূরণ যে বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় অত সহজে হবে না, তা ভালই জানেন নীতীশ। সেই কারণেই আজ নতুন সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, “প্রচারে বিহারে বিশেষ মর্যাদার আশ্বাস বিজেপি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই তাঁদের কাছে বিহারবাসীর, বিশেষ করে আমার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বেশি প্রত্যাশা। আশা করি তাঁরা বিহারকে বিশেষ মর্যাদা দেবেন। দেবেন বিশেষ আর্থিক প্যাকেজও।” নয়া সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে নীতীশ বলেন, “কেন্দ্রে মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে আগেই অভিনন্দন জানিয়েছি। আজ সরকারের শপথগ্রহণ। আবার একবার অভিনন্দন জানাই।”
২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে নীতীশ এই ‘বিশেষ মর্যাদার’ বিষয়টিকে সামনে রেখেই এগিয়েছেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিল বিজেপি-ও। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদীর নাম ঘোষণা করার পর নীতীশ ১৭ বছরের জোটসঙ্গীর সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করেন। সেই সময় রাজ্য বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যেই জানান, বিশেষ মর্যাদার দাবি নীতীশের নয়, এটা এনডিএ জোটের দাবি।
বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে বিহারবাসীর এই প্রত্যাশা বিজেপি-ই পূরণ করবে। কার্যত সেই দিকেই আজ ইঙ্গিত করেছেন নীতীশ। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেও বিহারে জেডিইউ-কে যে নীতীশই নেতৃত্ব দেবেন, তা তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ বিহারের বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবিকেই ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ তাঁর প্রধান হাতিয়ার করতে চলেছেন। দাবি আদায় হলে তার কৃতিত্ব দাবি করবেন, না হলে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন বিজেপিকে। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বিহারে ৪০টির মধ্যে ৩১টি আসনই দখল করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। জেডিইউয়ের আসন ২০ থেকে নেমে এসেছে দুইয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy