দুমকায় নির্বাচন কমিশনের হোর্ডিং। —নিজস্ব চিত্র
দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতিই শুধু মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষা হিসেবে ব্যবহার করার কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। কিন্তু ভোটের আগে বাংলাভাষী নাগরিকদের মন জিততে বাংলা ভাষার দিকে ঝুঁকেছে রাজ্য সরকার, রাজনৈতিক দলগুলি।
সাঁওতাল পরগনায় বঙ্গভাষীদের বসবাস সব চেয়ে বেশি। ২৪ এপ্রিল দুমকা, রাজমহল, গোড্ডায় ভোট। তার আগে ওই সব কেন্দ্রের নানা জায়গায় টাঙানো হচ্ছে বাংলায় লেখা হোর্ডিং। ভোটারদের বুথে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। ভোট-প্রচারে থাকছে বাংলা লোকগান। প্রার্থীরা বক্তব্যও রাখছেন বাংলাতেই। কয়েক দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম লাগোয়া দুমকার সীমানাবর্তী গ্রাম মলুটিতে গিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গ্রামবাসীরা বলছেন, ভোট এলেই নেতাদের ‘বঙ্গ-প্রীতি’ জেগে ওঠে।
গ্রামের বাসিন্দা সান্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের এক মাত্র বাংলা মাধ্যম স্কুলটি বন্ধ। ছেলেমেয়েরা ৫-৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে বীরভূমের স্কুলে যায়। সরকারের কাছে অনেক বার আবেদন করা হলেও, কোনও সুরাহা হয়নি।” দুমকার মেন রোড-সহ কয়েকটি রাস্তায় এখন মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ছে বাংলায় লেখা হোর্ডিং। রাজ্য নির্বাচন দফতরের নির্দেশে দুমকার তথ্য ও জন-সম্পর্ক বিভাগ ওই ব্যবস্থা করেছে। তথ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “সাঁওতাল পরগনার অনেক গ্রামে বাংলা ছাড়া কোনও ভাষায় কথা বলা হয় না। তাঁরা যাতে ভোট দিতে যান, সে জন্যই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বাংলায় বক্তৃতায় পারদর্শী নেতাদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও।
দুমকার সংগঠন ‘বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি’র রাজ্য সম্পাদক গৌতম চট্টোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে বাংলায় প্রচারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy