Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Amazon

চরম দুর্দশার মধ্যে রাখা হয়, প্রতিবাদে অ্যামাজন ছাড়ছেন কর্মীরা

বেছে বেছে ব্ল্যাক ফ্রাইডের সময়টাই কর্মবিরতির জন্য বেছে নিয়েছেন শ্রমিকরা, কারণ তাহলেই অ্যামাজন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের বক্তব্য সব থেকে ভাল ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, এমনটাই বলা হচ্ছে ইউনিয়নের তরফে।

ধর্মঘটের মোকাবিলায় কড়া প্রহরা মাদ্রিদের আমাজন গোডাউনের সামনে। ছবি: এএফপি।

ধর্মঘটের মোকাবিলায় কড়া প্রহরা মাদ্রিদের আমাজন গোডাউনের সামনে। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:১৭
Share: Save:

অন লাইন কেনাবেচায় এখন চলছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল। থ্যাঙ্কস গিভিং ডে-র সপ্তাহেকেনাকেটায় মেতেছেন সারা দুনিয়ার মানুষ। সেই কেনাবেচা আর ছাড়ে সবার সামনে আছে অনলাইন ই কমার্স সংস্থা অ্যামাজনই। বিপুল ছাড়ে আর সস্তায় নিজের পছন্দের জিনিস কিনতে যখন মেতে উঠছেন ক্রেতারা, ঠিক তখনই কর্মীদের অসন্তোষে জেরবার হয়ে উঠল এই ই-কমার্স সংস্থা।

অসন্তোষের ঝড় উঠেছে সারা বিশ্ব জুড়েই। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, সর্বত্রই রাস্তায় নেমেছেন অ্যামাজন কর্মীরা। যে পরিবেশ ও পরিস্থিতির মধ্যে অ্যামাজন কর্মীদের কাজ করতে হয় তা বিপজ্জনক এবং অমানবিক,বলছেন শ্রমিকনেতারা। কর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক টিম রোচের মন্তব্য, ‘‘অ্যামাজনের ওয়্যার হাউস বা গুদামে আমাদের কর্মীরা অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করেন। কাজ করতে গিয়ে তাঁদের হাড় ভাঙছে, তাঁরা অচেতন হয়ে পড়ছেন, তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’’

শ্রমিক নেতার দাবি ভিত্তিহীন নয়, কারণ কিছুদিন আগেই একটি সংস্থার প্রশ্নের উত্তরে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁদের বিভিন্ন গুদামে গত তিন বছরে অন্তত ৬০০ বার অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়েছিল। জার্মানিতে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন ৬০০ জন শ্রমিক। কর্মবিরতি চলছে স্পেনেও। বেছে বেছে ব্ল্যাক ফ্রাইডের সময়টাই কর্মবিরতির জন্য বেছে নিয়েছেন শ্রমিকরা, কারণ তাহলেই অ্যামাজন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের বক্তব্য সব থেকে ভাল ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, এমনটাই বলা হচ্ছে ইউনিয়নের তরফে।

প্যারিসে অ্যামাজনের সদর দফতরের সামনে আবর্জনা ফেললেন কর্মীরা। ছবি: এএফপি।

আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসের ব্রিফ্রিং রুমে প্রেস সচিবের থেকে নাকি বেশি সময় কাটায় এই টার্কি!

স্পেনে অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন শ্রমিকেরা। মে মাসেও কোম্পানির বাৎসরিক প্রাইম ডে সেল-এর সময় কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আছড়ে পড়েছে কর্মীদের এই অসন্তোষ। সেখানে তাঁদের আন্দোলন হচ্ছে #অ্যামাজনউইআরনটরোবটস, এই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: সীমান্ত বন্ধ হবে, দরকারে গুলি চলবে, শরনার্থী রুখতে হুঙ্কার ট্রাম্পের

যদিও কোম্পানি জুড়ে ব্যাপক কর্মীবিক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ইউরোপে আমাদের কাজকর্মে কোনও প্রভাব পড়েনি। ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ইউরোপের বিভিন্ন গোডাউনে আমাদের প্রায় ৭৫,০০০ কর্মী কাজ করেন। আমাদের সংস্থায় কাজের পরিবেশ যথেষ্ট নিরাপদ।’’

(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE