প্রতীকী ছবি।
গত শতকে হারিয়েছিলেন স্প্যানিশ ফ্লুকে। এবং এ শতকে পরাস্ত করলেন করোনাভাইরাসকে।
করোনায় সংক্রমিত হলেও তার সঙ্গে লড়াই করে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একশো পেরনো ইটালির এক বৃদ্ধ। দুই অতিমারীকে হারানোর এই ঘটনা যে করোনা-যুদ্ধে ইটালিকে নতুন করে প্রেরণা যোগাবে, তা মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
উত্তর-পূর্ব ইতালির রিমিনি শহরের বাসিন্দা ১০১ বছরের ওই বৃদ্ধ নিজেকে ‘মিস্টার পি’ হিসাবে পরিচয় দেন। গত শতকে যখন স্প্যানিশ ফ্লু-এর মতো অতিমারীর দাপটে ত্রস্ত ইটালি-সহ গোটা বিশ্ব, সেই সময়ে জন্মেছিলেন তিনি। ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত, বছর দুয়েকের সেই অতিমারীর দাপটে সংক্রমিত হয়েছিলেন ইটালি-সহ বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। তাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৫ কোটি মানুষের। সেই অতিমারীকে হারিয়েছিলেন ‘মিস্টার পি’। সপ্তাহ দুয়েক আগে নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে’। এর পর সেখানেই ‘মিস্টার পি’-কে বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন চিকিত্সকেরা। বেশ কিছু দিনের লড়াইয়ের পর করোনাকে পুরোপুরি পরাস্ত করেন ‘মিস্টার পি’। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। এর পর তাঁর আত্মীয়-স্বজন তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন। একে সামান্য ঘটনা হিসাবে দেখছে না রিমিনি শহরের প্রশাসন। শহরের ডেপুটি মেয়র গ্লোরিয়া লিসি বলেছেন, ‘’মিস্টার পি জয়ী হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নেওয়া যায় যে , ১০১ বছর বয়স হলেও কারোর সম্পর্কে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না।’’
আরও পড়ুন: বিশ্বে মৃত্যু ৩৪ হাজার আক্রান্তের, আমেরিকায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ: করোনা আপডেট
আরও পড়ুন: বাঁচলে তবে তো চুম্বন, বুঝছিলেন না কেউই!
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ঘটনা যে ইটালিকে নতুন করে উদ্বুদ্ধ করবে, তা মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই সে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৯৭ হাজার। পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে ইটালি সরকার।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy