হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ছবি: এএফপি।
ফের বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু মিছিল আমেরিকায়। এক মানসিক অবসাদগ্রস্ত পুরকর্মীর নির্বিচার গুলিচালনায় ভার্জিনিয়া বিচের একটি সরকারি ভবনে শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয় অন্তত ১২ জনের। আহত বহু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত আসরে নামে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ঘাতকের। ঘটনার পরেই গোটা চত্বর ঘিরে ফেলে পুলিশ। বার করে আনা হয় কর্মীদের।
পুলিশ প্রধান জেমস কারভেরা জানিয়েছেন, .৪৫ ক্যালিবারের সেমি অটোমেটিক হ্যান্ডগান নিয়ে একটি সরকারি ভবনে ঢুকে পড়ে আততায়ী ডোয়েন ক্র্যাডক। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ডোয়েন দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নগরোন্নয়ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বন্দুকে সাইলেন্সার লাগানো ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কাজের সুবাদে ভবনটি চেনা হওয়ায় তিনি সহজেই সেখানে ঢুকে পড়েন এবং বিভিন্ন তলায় ঘুরে ঘুরে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রাইফেলও। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ভবনের বাইরে দাঁড়ানো এক গাড়ির যাত্রী। ঘাতকের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের সময়ে আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। হামলার বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নজরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। তদন্তে নেমেছে এফবিআই।
কারভেরা জানান, ওই ভবনের তিনটি তলাতেই আহত হয়েছেন কয়েক জন। শুক্রবার রাতে আক্রান্ত চার জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। যদিও গুলিতে আহতের সংখ্যা আরও বেশি বলেই দাবি পুলিশের। তাদের অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে চিকিৎসা করানোয় প্রকাশ্যে আসেনি আহতের প্রকৃত সংখ্যা।
হামলার সময়ে ওই সরকারি ভবনটিতে ছিলেন প্রশাসনের আধিকারিক মেগান ব্যান্টন। স্থানীয় টেলিভিশনে তিনি জানিয়েছেন, এ দিন প্রবল চিৎকার ও আর্তনাদ শুনে বিষয়টি নজরে আসে তাঁর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরে বেশি রাতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন কারভেরা, ভার্জিনিয়ার মেয়র ও গভর্নর।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ডোয়েনের বন্দুকে সাইলেন্সার ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ধরে যাতে গুলি চালানো যায়, সে জন্য বাড়তি ম্যাগাজ়িনও লাগানো ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, পরিকল্পনা করেই হামলা চালিয়েছে আততায়ী। ঘাতককে বশে আনতে আসরে নামেন চার পুলিশ অফিসার। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে দু’পক্ষের গুলিবিনিময়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ডোয়েনের।
ভার্জিনিয়ার মেয়র ববি ডায়ার জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনা গোটা শহরের ইতিহাসে এক কালো দিন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ বার বন্দুকবাজের হামলার সাক্ষী ছিল আমেরিকা। সে বার অরোরায় এক গুদাম কর্মী চাকরি যাওয়ার পরে বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। মৃত্যু হয়
পাঁচ জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy