Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
S Jaishankar

উত্তেজনার আবহেই বৈঠকে মুখোমুখি ভারত-চিনের বিদেশমন্ত্রী, রয়েছে রাশিয়াও

রাশিয়ার উদ্যোগে এই বৈঠক হলেও ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনার আবহে দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নামতে চায় না বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মস্কো থেকে।

এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই।  —ফাইল চিত্র।

এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ১৪:২২
Share: Save:

ভারত-চিন সংঘর্ষের পর এই প্রথম একে অপরের মুখোমুখি দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী। তবে সামনাসামনি নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আজ, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রাশিয়া, ভারত এবং চিনের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক ভিডিয়ো বৈঠক শুরু হয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে এতে আলোচনায় রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাশিয়ার তরফে উপস্থিত সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লভরভ।

১৫ জুন লাদাখ সংঘর্ষের আগেই মূলত রাশিয়ার উদ্যোগে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় অবশ্য করোনাভাইরাসের মতো অতিমারি মোকাবিলার কৌশল নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল এই বৈঠকে। তবে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল হয়েছে কূটনৈতিক মহলের।

রাশিয়ার উদ্যোগে এই বৈঠক হলেও ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনার আবহে দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নামতে চায় না বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মস্কো থেকে। এমনকি এই বৈঠকে কোনও দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনার জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও এই ভিডিয়ো বৈঠকে ভারত-চিনের মধ্যে ‘আস্থাবর্ধক পরিবেশ’ তৈরিতে সমর্থনের দরজা খুলে রেখেছে মস্কো। সেই সঙ্গে ইউরেশিয়া অঞ্চলে স্থিতবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে তারা সচেষ্ট বলে জানিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যমের কাছে রাশিয়ার হাইকমিশনের ডেপুটি চিফ রোমান বাবুশকিন বলেন, “রাশিয়া (ভারত-চিন) দু’দেশেরই আস্থাবহ সঙ্গী। এবং ইউরেশিয়াতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে তাদের সঙ্গে আমাদের বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ক্ষেত্রে আরআইসি (রাশিয়া-ভারত-চিন) হল এমন এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যা সাধারণ ক্ষেত্রগুলিকে প্রসারিত করতে বা আলোচনাকে মজবুত করতে এবং বাস্তবসম্মত ভাবে সহযোগিতার দিকে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আস্থাবর্ধনেও সহায়তা করে।”

আরও পড়ুন: সেনা পিছতে রাজি চিন, কোর কমান্ডার বৈঠকে ‘পারস্পরিক ঐকমত্য’

আরও পড়ুন: নজরে গালওয়ান, সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে আজ লে-তে সেনাপ্রধান​

লাদাখ-সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেও তার আগেই অবশ্য টেলিফোনে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে কথা হয়েছে জয়শঙ্করের। লাদাখে এক জন কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের নিহত হওয়ার পর ১৭ জুন ওয়াংয়ের সঙ্গে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তবে সেই বার্তালাপ সত্ত্বেও লাদাখ-সংঘর্ষের পর আরআইসি বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। যদিও বিদেশ মন্ত্রক থেকে জয়শঙ্করের উপস্থিতি নিয়ে নিশ্চিত করা হয়। তবে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার বৈঠক হলেও এতে নয়াদিল্লির তরফে বেজিংকে কী বার্তা দেওয়া হয়, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে কূটনৈতিক মহলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE