Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
World’s luckiest parrot

গুলি, সাপের কামড় খেয়ে চুরি যাওয়ার পরেও ফিরে এল টিয়া

সাপের কামড়, গুলি খেয়ে, চোর ডাকাতদের হাত থেকে পালিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের ঘরে ফিরল ফ্রেডি।

অদ্ভুত ভাবে ফিরে এসেছে ফ্রেডি। প্রতীকী চিত্র।

অদ্ভুত ভাবে ফিরে এসেছে ফ্রেডি। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ১৯:২৯
Share: Save:

একেই বলে দুরন্ত ফিরে আসা। না হলে সাপের কামড়, গুলি খেয়ে, চুরি গিয়েও কোনও টিয়া পাখি ফিরে আসতে পারে তার ঘরে!

সম্প্রতি ব্রাজিলের ক্যাসকাভেন শহরের চিড়িয়াখানায় একটি টিয়া পাখির কাহিনী সামনে এসেছে। যা শোনার পর আপনিও বলবেন এই হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান টিয়া।

বছর চারেক আগে ‘ফ্রেডি ক্যুয়েগার’কে ক্যাসকাভেন চিড়িয়াখানায় আনা হয়। গত ১৬ এপ্রিল এক দল দুষ্কৃতী চিড়িয়াখানায় হামলা চালায়। নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই হয়। সেখানেই আহত হয় ফ্রেডি। দুষ্কৃতীরাই ফ্রেডি ও আরও কয়েকটি প্রাণীকে নিয়ে পালায়।

গুলির লড়াইয়ের কয়েকদিন আগে ফ্রেডিকে একটি সাপেও কামড়ায়। কিন্তু ভাগ্য ভাল তার, সাপটি নির্বিষ ছিল। তাই রক্তাক্ত হলেও প্রাণে বেঁচে যায় ফ্রেডি।

ফ্রেডি চলে যাওয়ায় মন খারাপ হয়ে যায় তার দেখশোনার দায়িত্বে থাকা চিড়িয়াখানার কর্মীদের। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ফিরে আসে ফ্রেডি। একদিন চিড়িয়াখানার কর্মীরা দেখেন একটি পাইন গাছের তলায় বসে রয়েছে ফ্রেডি।

ভেবে দেখুন সাপের কামড়, গুলি খেয়ে, চোর ডাকাতদের হাত থেকে পালিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের ঘরে ফিরল ফ্রেডি।

আরও পড়ুন : পুলিশের থেকে ড্রাগ মাফিয়াকে বাঁচাতো পোষা টিয়া!

আরও পড়ুন : এই মহিলার প্যান্টের পকেট থেকে কী বার হল দেখুন...

ফ্রেডির চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত সুস্থ আছে সে। তবে পূর্ণ পরীক্ষানিরীক্ষা করার পরই বলা যাবে তার আঘাতগুলি কী অবস্থায় আছে। চিকিত্সক জানিয়েছেন, ফ্রেডি সত্যিই পৃথিবীর সব থেকে ভাগ্যবান টিয়া।

ব্রাজিলে আহত বা বিকৃত তোতার কোনও কদর নেই বলেই হয়তো তাকে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নিজের ঘর চিনে ফিরে এসেছে ফ্রেডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

zoo Brazil parrot
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE