অপূর্বের ডাকাডাকিতে ধড়মড়িয়ে উঠলেন সায়ন্তন। অফিসে চেয়ারে বসেই ঘুমে ঢুলছিলেন। আর একটু হলে পড়ে যেতেন। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর। কিন্তু গত এক মাস ধরে এমনটাই হচ্ছে। দুপুরের খাওয়ার পর কিছুতেই যেন চোখ খোলা রাখতে পারেন না। সেই বিকালে গিয়ে কড়া করে চা খেলে বা ধূমপান করলে তবে গা ম্যাজমেজে, ঘুমঘুম ভাব ছাড়ে।
সায়ন্তনের মতো এমন অনেকেরই হয়। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ঝিমুনি আসে। বাড়িতে থাকলে বিছানায় গড়িয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু অফিসে তো তা সম্ভব নয়। এমন সমস্যার উপায় বাতলালেন অভিনেত্রী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর।
নায়িকার ছিপছিপে, নির্মেদ চেহারার পিছনে রুজুতার পরামর্শ রয়েছে। তাঁর চিন্তাভাবনাকে মান্যতা দেন বলিউডের বহু তারকাই। মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ওজন ঝরানো থেকে সুস্থ থাকার টিপ্স দেন তিনি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমনই একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রুজুতা বলছেন, ‘‘ খাওয়ার পর ঘুমঘুম ভাব ছাড়াতে দু’টি উপকরণ দুপুরের মেনুতে যোগ করা দরকার। ঘি এবং চাটনি। সামান্য পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং স্বাদের বৈচিত্র এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।’’
স্বাস্থ্যসচেনতার লক্ষ্যে দেশের সাবেক রান্না ছেড়ে অনেকেই এখন বিদেশি খাবার বেছে নিচ্ছেন। কেউ কেউ ভাত, রুটি বাদ দিয়ে কিনোয়া, ওট্স- খাদ্যতালিকায় রাখছেন। বাদ পড়ছে, ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত ঘি এবং রকমারি চাটনি। রুজুতা কিন্তু ভারতীয় খাবারে বরাবরই জোর দেন। আধপেটা খেয়ে, অতিরিক্ত শরীরচর্চা করে মেদ ঝরানোর পক্ষপাতী তিনি কখনওই নন। করিনা কপূরের সমাজমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে তিনি ঘি, মাখন, পরোটা— সবই খান।
রুজুতার কথায়, ঘি স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য জরুরি। বিশেষত তা যদি পুরনো হয়, আরও ভাল। ঘি ভিটামিন ডি এবং বি১২-এর ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধির সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে কালচে ছোপ থাকলেও পরিমিত ঘি খাওয়া দরকার।
আর একটি খাবার হল চাটনি। বাঙালিরা মিষ্টি চাটনি খেলেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধনেপাতা, নারকেল কারিপাতার চাটনি, রসুনের চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। রুজুতা এই ধরনের মিষ্টি ছাড়া চাটনি পাতে রাখতে বলছেন। ভারতীয়দের খাদ্যাভাসের সঙ্গে চাটনির যোগ নিবিড়। প্রত্যেকটি খাবারের নিজস্ব পুষ্টিগুণ এবং কার্যকারিতা আছে।
তবে পাতে রাখতে বললেও, ঘি এবং চাটনি খেতে হবে পরিমিত, মনে করাচ্ছেন রুজুতা।