পুজো, বছর শেষ নয়— সপ্তাহান্তটাও অনেকে ঘরোয়া পার্টি বা পাবে গিয়ে উপভোগ করেন। সুরাপ্রেমীদের সপ্তাহশেষের অনুষ্ঠানে মদ যে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা হয় রবিবারের পরের দিনটিতে কাজের সময়।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। শরীর খারাপ লাগলেও ওই দিন কাজ বন্ধ করা চলবে না। এ দিকে, রাত করে পার্টি, মদ্যপানের ফলে মাথাধরা, শারীরিক অস্বস্তি রয়ে যায় পরের দিনও। হ্যাংওভার কাটানোর জন্য জল খেতে বলেন অনেকেই। কিন্তু অনেক সময় তাতে মাথা ভার হওয়া বা মাথা ধরা কমে না।
হ্যাংওভার কাটিয়ে দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠতে তিন উপায় জেনে রাখুন—
হালকা শরীরচর্চা
যখন বিছানা ছাড়তেই ইচ্ছা করছে না, তখন শরীরচর্চা খুবই বিরক্তকর মনে হতে পারে। তবে জোর করেই খানিক হাঁটাহাটি করলে, জানলা খুলে আলো-হাওয়ায় দাঁড়ালে শারীরিক অস্বস্তি কাটবে। নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ। হাঁটাহাটি বা হালকা শরীরচর্চাতেও এন্ডরফিন নামক হরমোনের ক্ষরণ হয়। হ্যাংওভারের লক্ষণ কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে এটি।
আদা-চা
মাথা ধরা, বমি ভাব? জলে আদা ফুটিয়ে চুমুক দিন। আলস্য ভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে পানীয়টি। আদার গুণে গা-বমি ভাবও কমবে। গরম পানীয়ে শরীর ঝরঝরে লাগবে।
পুদিনা চা
মাথা ধরা কমতে না চাইলে চুমুক দিন পুদিনা চায়ে। চা পাতা দিতে হবে না। একটু পুদিনা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে খান। এতে আদাও অবশ্য যোগ করতে পারেন। গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে দেবে পানীয়টি। মাথা ব্যথাও কমবে। শরীর চনমনে লাগবে।
তবে চিকিৎসকেরা বলেন, সমস্যা হওয়ার পর প্রতিকার খোঁজার চেয়ে ভাল আগে থেকে সতর্কতা। সেই কারণে, পার্টি বা পাবে গেলেও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন।
১। মদ্যপানের আগে, পরে প্রচুর জল খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়। চট করে শরীর খারাপ বা অতিরিক্ত নেশা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
২। পরিমিতিবোধ খুব জরুরি। সোমবার সকালে ওঠার থাকলে গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান না করাই ভাল। পার্টি বা আনন্দ-ফুর্তির সময় একটু এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৩। ঘুম খুব জরুরি। টানা ঘুম হলেও শরীরে ক্লান্তি এবং মদ্যপানের হ্যাংওভার পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়।