বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় ঘর, প্রিয় কোণ। সারা দিনের ক্লান্তির পর যে ঘরে গিয়ে আরামের সন্ধান করেন, সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ! অজান্তেই এমন কিছু জিনিস রয়ে যায় শোয়ার ঘরে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। ঘুমের মানের অবনতি ঘটানো থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট ও ব্যথার সমস্যা বাড়ায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমস প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেঠি বর্তমানে আমেরিকান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল এন্ডোস্কপি এবং ইন্টারনাল মেডিসিনের অনুমোদিত চিকিৎসক। তাঁর মতে, ঘরের কয়েকটি জিনিস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলা দরকার।
শোয়ার ঘরের ৩টি জিনিস দ্রুত সরিয়ে ফেলুন
১. পুরনো বালিশ
এক–দু’বছরের বেশি পুরনো হয়ে গেলে বালিশ ফেলে দেওয়া বা ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। নয়তো বালিশে ধুলো জমতে থাকে দিনের পর দিন। তাতে জীবাণু আর অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান জমে যায়। এতে শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সমস্যা বা সর্দিকাশির ঝুঁকি বাড়ে। কেবল ঝেড়ে দিলেই জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। তাই সময় মতো নতুন বালিশ ব্যবহার করা দরকার।
পুরনো বালিশ থেকে রোগের আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত।
২. কৃত্রিম সুগন্ধি
বাজারে যে এয়ার ফ্রেশনার পাওয়া যায়, সে সব সুগন্ধিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাসায়নিক উপাদান থাকে। এগুলির ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা বাড়ে, মাথাব্যথা হয়, এমনকি হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে। তাই শোয়ার ঘরে এ সব কৃত্রিম সুগন্ধি না রাখাই ভাল। বাজারজাত এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে না করে প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন, লেবুর খোসা, গাছের পাতা বা ভেষজ তেল ব্যবহার করা ভাল।
এয়ার ফ্রেশনার থেকে অসুখ-বিসুখ। ছবি: সংগৃহীত।
৩. পুরনো গদি
সাত-দশ বছরের বেশি পুরনো গদি শরীরের ভার ঠিক ভাবে বহন করতে পারে না। ফলে ঘুমের মান খারাপ হয়, কোমরে–পিঠে ব্যথা শুরু হয়। তাই পুরনো গদি বদলে নতুন গদি ব্যবহার করা উচিত।
পুরনো গদি থেকে স্বাস্থ্যহানি। ছবি: সংগৃহীত।