নুন এমন এক উপাদান, যা ছাড়া স্বাদ অসম্পূর্ণ। কোনও শিশু সুন্দর হলে মিষ্টির সঙ্গে তুলনা করা হয়। অথচ চিনি ছাড়া খাবার খাওয়া যায়, কিন্তু নুন ছাড়া তা হয়ে যায় বিস্বাদ।
এক চিমটে নুন শুধু যে খাবারে স্বাদবৃদ্ধি করে তা নয়, তা দিয়ে হেঁশেলের হরেক কাজ হতে পারে। রাঁধার সময়েও কৌশলে নুনের ব্যবহার অনেক কাজ সহজ করে দিতে পারে। কী ভাবে কাজে লাগাবেন নুন?
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ কাটার সময় ঝাঁজে চোখ জ্বালা করে, জল পড়ে? সব্জি কাটার বোর্ডে সামান্য একটু নুন ছড়িয়ে নিন। নুন পেঁয়াজের রস শুষে নেবে। তার ফলে চোখ জ্বালার সমস্যা নিমেষেই কিছুটা কমে যাবে। তবে পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে তা এক বার জলে ধুয়ে নিলেও এমন সমস্যার সমাধান হতে পারে।
মুচমুচে ভাজা: মুচমুচে ঢেঁড়স ভাজা হোক সব্জি ভাজা— একটু নুনই কিন্তু অনেক কাজ করতে পারে। ঢেঁড়স বা মাশরুমে মিনিট দশেক আগে নুন মাখিয়ে রাখুন। তার পর সব্জি ভাজলে সেটি বেশি মুচমুচে হবে। কারণ, নুন, সব্জির ভিতর থেকে জল টেনে বার করে দেয়।
তেতোভাব কমায়: করলা, উচ্ছে বেশি তেতো হলে ভাল লাগে না? সব্জি কেটে নুন, হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। কিছু ক্ষণেই সব্জি থেকে জল বেরোতে শুরু করবে। সেই জল চিপে ফেলে দিয়ে ভাজলে তেতোভাব কমে যাবে। জল বেরিয়ে যাওয়ার পর একটু কর্নফ্লাওয়ার বা বেসন ছড়িয়ে ভাজলে এগুলি বেশ মুচমুচেও হবে।
ডিম, পাস্তায় দিন: ডিম সেদ্ধ করার সময় এক চিমটে নুন ফেলে দিলে খোসা সহজে উঠে আসে। আলু সেদ্ধ হোক বা পাস্তা—নুন দিয়ে সেদ্ধ করলে, স্বাদে বদল আসে। ভিতর পর্যন্ত নুন যায়।
মিষ্টি খাবার: কেক হোক বা পুডিং, রকমারি মিষ্টি জাতীয় খাবারেও এক চিমটে নুন দিলে স্বাদবৃদ্ধি হয়। খাবারটি নোনতা না হলেও, এতে স্বাদ বাড়ে কিছুটা।