কোনও কিছুই একঘেয়ে ভাল লাগার কথা নয়। ভাই ফোঁটার থালাই বা তা হলে একচেটিয়া মিষ্টির কেন হবে। স্বাদ বদলের জন্য তাই ভাইফোঁটার থালায় বহু দিন ধরেই নিমকি, শিঙাড়ারা থাকে। তবে এ বার সেই চেনা নোনতায় খানিক বদল আনতে পারেন। ভাইকে নিজে হাতে তৈরি করে দিন নোনতা খাবার। যা বানাতে লাগবে কেবল ১৫ মিনিট। আবার ভাইয়েরও মুখ বদল হবে।
ভাইফোঁটার আগে বোনেদের জন্য রইল তেমনই ৫ চটজলদি মুচমুচে নোনতার সন্ধান।
১। শিঙাড়ার চাট
মিষ্টির প্লেটে শিঙাড়া না সাজিয়ে ওই শিঙাড়া দিয়েই তৈরি করে নিন চাট। কলকাতায় তো বটেই দেশের অন্য শহরেও এই শিঙাড়া চাট বা সামোসা চাট জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড। ভাইফোঁটায় মিষ্টির প্লেটের পাশে এমন একটি থালা সাজিয়ে দিলে মন ভাল হবে ভাইয়েরও। উপকরণ বলতে লাগবে দই, চাট মশলা, তেঁতুলের মিষ্টি চাটনি আর পুদিনা আর ধনেপাতার চাটনি। এই কয়েকটা জিনিস হাতের কাছে প্রস্তুত রাখলেই ১৫ মিনিটের মধ্যে টক-ঝাল-মিষ্টি চাট তৈরি।
২। চিঁড়ের নাগেটস
চিঁড়েকে জলে ভিজিয়ে তাকে নানা মশলা দিয়ে মেখে ছোট্ট ছোট্ট টিক্কির আদলে গড়ে সোনালি করে ভেজে নিন। সবুজ চাটনি বা শস দিয়ে পরিবেশন করুন। হালকা অথচ মুচমুচে আর মশলাদার এই স্ন্যাকস বড়দের তো বটেই ছোটদেরও ভাল লাগবে।
৩। হরাভরা কাবাব
লাল-সাদা-হলুদ বা খয়েরি নয়। ভাইফোঁটার পাতে সবুজের ছোঁয়া আনতে পারে হরাভরা কবাব। পালং শাক, কড়াইশুটি, সেদ্ধ আলু আর পছন্দের মশলা দিয়ে মেখে বানাতে হবে টিক্কি। তাকেই ঘিতে সেঁকে নিয়ে তৈরি হবে সুস্বাদু হরভরা কবাব। যা আবার স্বাস্থ্যকরও।
৪। আলু বাইট
আলু খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ কমই আছেন। তাই খেতে ভাল লাগবে কি লাগবে না সে ব্যাপারে খুব বেশি দুশ্চিন্তা না করেই আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ন্যাকস। আর এর জন্য খুব বেশি মশলাও লাগবে না। সেদ্ধ আলুকে বড় বড় টুকরোয় কেটে তাকে তেলে পছন্দের মশলায় নেড়ে ভেজে নিন।
৫। ভেজ পকোড়া
পকোড়া ব্যাপারটার মধ্যে যেমন মুচমুচে আড্ডা দেওয়ার একটা মজলিসি আমেজ আছে, তেমনই পকোড়া খাওয়ার মধ্যে একটা চেনা আরামও আছে। ভারতীয় নোনতার কথা ভাবলে তাই সবার আগে পাকোড়ার কথাই মনে পড়ে। পেঁয়াজ, আলু, ক্যাপসিকাম, গাজরের সঙ্গে পছন্দের সব্জি সরু সরু করে কেটে বেসনে ডুবিয়ে ভেজে নিন। আগে থেকে কাটাকুটির ঝামেলা মিটিয়ে রাখলে ১০ মিনিটেই রেডি হবে নোনতা খাবার।