আপনি বাঙালি? তা হলে এই কুসংস্কারগুলো হয়তো আপনার মধ্যেও রয়েছে। আহা! সকলের সামনে নাই বা স্বীকার করলেন। কিন্তু মনে মনে আপনি ঠিক জানেন, দৈনন্দিন জীবনে এ সব বেশ মেনেও চলেন। ঠিক বলছি কী না মিলিয়ে নিন।
১) টিকটিকি টিকটিক
বেডরুমে বউয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় হোক বা তাসের আড্ডায় বন্ধুদের মধ্যমণি— কোনও কথার মাঝখানে টিকটিকি ডেকে উঠল মানেই বাঙালির মুখ কাঁচুমাচু। সে সময় যে কথা তিনি বলছিলেন, তা টিকটিকির ডাকের কারণে ঠিক না হয়ে যায় না!
২) দু-শালিখ নমস্কার
রাস্তায় বেরিয়ে এক শালিখ দেখা মানেই নাকি খারাপ যাবে দিনটা। তাই এক শালিখ নজরে পড়লেই আঁতিপাতি করে তার জোড়া খুঁজতে লেগে যান বাঙালি। তার পর শুরু হয় জোড়া শালিখ নমস্কারের পালা।
৩) বেড়াল রাস্তা কাটল!
আপনি অফিসে যাচ্ছেন, অথবা বাজারে, নেমতন্ন খেতে যাচ্ছেন নাকি পরীক্ষা দিতে? যে কাজেই যান না কেন বেড়াল রাস্তা কাটল মানেই নাকি অশুভ। অন্তত বেশিরভাগ বাঙালি এই ফর্মুলাতেই বিশ্বাসী।
৪) ডিম নাকি অশুভ!
হুম। বাঙালিরা এটাই মনে করেন মশাই। সারা বছর অমলেট, পোচ, ডালনা যে ভাবেই ডিম খান না কেন, পরীক্ষা বা প্রোমোশনের আগে কোনও মনেই তাঁরা ডিম খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোবেন না।
৫) এক চোখ দেখালে ঝগড়া হবে!
কথা বলতে বলতে আপনি যদি চোখ রগড়াতে থাকেন আর আপনার উল্টো দিকের মানুষটি বাঙালি হলে তিনি জোর করে আপনার দু’চোখ দেখে তবে ছাড়বেন। কারণ বাঙালিরা বিশ্বাস করেন, এক চোখ দেখালে নাকি ঝগড়া হয়। ভবিষ্যতে ঝগড়ার আশঙ্কা জিইয়ে না রেখে এখনই দু’চোখ দেখে নেওয়াই ভাল।
৬) হ্যাঁচ্চো…!
এই…হল তো। হেঁচে ফেললেন! বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে মোক্ষম সময় হেঁচেছেন আপনি। ব্যস। ব্যাস পড়ুন। বিছিনা হোক, চেয়ার হোক, সোফা হোক— বসুন মশাই। হাঁচি হলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না। এ কুসংস্কারও বাঙালিদের নিজস্ব।
৭) ভরা গ্লাস দেখুন
বাড়ি থেকে বেরোনের সময় জল ভরা গ্লাস দেখা মাস্ট। তা হলে সারা দিন ভাগ্য আপনার সহায় হবে।
৮) চুল না ফুল?
এ তো বাঙালি নারীর নিজস্ব কুসংস্কার। কথা বলতে বলতে আপনার গায়ে তাঁর চুল লাগলে বাঙালিনী প্রশ্ন করবেন, চুল না ফুল? উত্তরে বলতে হবে ফুল।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy