টিফিন বাক্সে থাক দেশটাই! স্বাদ বদলে প্রতি দিন এক এক রাজ্যের খাবার থাকুক সঙ্গে

প্রতি দিন টিফিনে কী দেওয়া যায়, তা নিয়ে বাড়ির গৃহিনীদের চিন্তার শেষ থাকে না। নিত্যদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার না দিলে, তা মুখে রুচবে না। কিন্তু দেওয়া যায় কী, সেই ভাবনা যে কতটা গুরুতর, যাঁরা সংসার করেন তাঁরাই জানেন। তবে এ ব্যাপারে মুশকিল আসান করতে পারে ভারত। এই দেশের প্রতি রাজ্যেরই খাবারে রয়েছে বৈচিত্র। মাঝেমধ্যে টিফিন বাক্সে ঠাঁই পাক সেটাই।

রাজমা-চাওল

ভাত আর রাজমার তরকারি, এটাই কিন্তু উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় খাবার। সে রাজ্যে এটি পরিচিত রাজমা-চাওল নামে। অফিসের টিফিন হোক বা দুপুরের খাবার, এখানে লোকজন মশলা দেওয়া একটু ঝোল ঝোল রাজমা দিয়ে ভাত খান এবং তৃপ্তিও পান।

পনির ভুর্জি রোল

পনিরের ভুজিয়া রুটিতে মুড়ে রোল করে খাওয়ার চল উত্তরাখণ্ডে। পেঁয়াজ, লঙ্কা, মশলা দিয়ে পনিরের ভুজিয়া তৈরি করা বিশেষ খাটনির ব্যাপার নয়। জিনিসটি রাঁধা সহজ, পুষ্টিতেও ভরপুর আবার সুস্বাদুও।

লেমন রাইস

লেমন রাইস ঠিক বাঙালিদের লেবু চিপে ভাত খাওয়া নয়। লেমন রাইসের মধ্যে মশলা এবং লেবুর রসের সুন্দর মিলমিশ থাকে। একেবারে ঝরঝরে ভাত হয়। বানানোও সহজ। তামিলনাড়ুতে এই ভাত খাওয়ার চল আছে। সাদা তেলে সর্রে, শুকনো লঙ্কা, কারিপাতা, বিউলির ডাল ফোড়ন দিয়ে, চিনেবাদাম, রসুনকুচি ভেজে সামান্য হলুদ দিয়ে নাড়িয়ে ভাত দিতে হয়। স্বাদমতে নুন, একটি বেশি করে পাতিলেবুর রস দিয়ে ভাত নাড়াচাড়া করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে লেমন রাইস।

বেগুন ভর্তা আর রুটি

বাঙালিরা খান বেগুন পোড়া, আর মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয় বেগুন ভর্তা। বেগুনপোড়ায় বেগুন পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি, নুন, সর্ষের তেল মেখে খাওয়ার চল। বেগুন ভর্তায় বেগুন পেঁয়াজ, রসুন ভেজে, টম্যাটো দিয়ে সেদ্ধ করে রান্না করা হয়। যোগ করা হয় মশলাও। রুটি আর বেগুন ভর্তাও থাকুক টিফিনে।

লুচি-ঘুগনি

দেশ জুড়ে আটার পুরি খাওয়ার চল থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে গাওয়া ঘিয়ে ভাজা ময়দার সাদা পাতলা ফুলকো লুচি খাওয়ার চল। তার সঙ্গে কেউ ভালবাসেন ছোলার ডাল, কারও আবার লাগে আলুরদম। কারও পছন্দ লুচি-ঘুগনি। সপ্তাহে এক দিন লুচিও থাকুক বাক্সে।