Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Death Incident

ফেসবুক লাইভে করে গলায় বিষ ঢাললেন! কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন স্কুল শিক্ষিকা?

শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই ফেসবুক লাইভে এসে গলায় বিষ ঢেলে নিজেকে শেষ করলেন স্কুল শিক্ষিকা।

Symboilc Image.

ফেসবুক লাইভে জীবনের চরম সিদ্ধান্তটি নিলেন শিক্ষিকা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মেরঠ (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫১
Share: Save:

ফেসবুক লাইভে এসে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। সম্প্রতি ৬৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জ এলাকায়। ভিডিয়োর শুরুতে ওই শিক্ষিকা বলেছেন, ‘‘আমি তোমাকে আর বিরক্ত করব না। কখনওই করব না। তোমার পরিবার আমায় মারধর করত। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’’ তার পরেই গলায় বিষ ঢেলে নিজেকে শেষ করে দেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে কাসগঞ্জ জেলার দুন্দওয়ারা থানা এলাকার নর্ম্যাল কলোনির বাসিন্দা মহেন্দ্রর সঙ্গে ২০১৬ সালে বিয়ে হয় শিক্ষিকার। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাত। প্রথম দিকে মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করতেন তিনি। প্রতিবাদ করলেই বেশি করে মারধর করা হত। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন।

লাইভ ভিডিয়ো দেখার পর শিক্ষিকার বাপের বাড়ির আত্মীয়রা ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই শিক্ষিকাকে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সকলে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শিক্ষিকার বাবা তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের সময় ৫ লক্ষ টাকা পণ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় দিতে পারেননি। তার পর থেকেই পণের জন্য চাপ দেওয়া হত মেয়েকে। প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন করা হত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

death row Poison
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE