ইসিজি, রক্তচাপ, হার্ট রেটের মতো জীবনদায়ী বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এই ঘড়িটিতে। ছবি : সংগৃহীত
‘অ্যাপল’ সংস্থার মোবাইল অনেকেই ব্যবহার করেন। সঙ্গে এখন আবার কব্জিতে শোভা পায় ওই সংস্থার হাতঘড়িও। যা ‘অ্যাপল ওয়াচ’ নামে বলে পরিচিত। অন্য ফিটনেস ব্যান্ডগুলির মতোই এই ঘড়িরও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলি আমাদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখে। সেই ঘড়ি এতই কাজের যে, তার উপর নির্ভর করে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন অনেকে। তবে এই প্রথম বার নয়। এর আগেও অ্যাপল ওয়াচ প্রাণ বাঁচিয়েছে গ্রাহকের।
এ বার আবার এক কিশোরীর ক্যানসার ধরেছে অ্যাপল ওয়াচ। ১২ বছর বয়সি ইমানি মাইলসের হাতঘড়িটি ক্রমাগত জানান দিয়ে যাচ্ছিল যে, তার হৃদ্স্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ইমানির মা জেসিকার কাছেও বিষয়টি খুব স্বাভাবিক ছিল না। কারণ এর আগে কোনও দিনও এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেনি।
একটুও সময় নষ্ট না করে জেসিকা তাঁর মেয়েকে নিয়ে চলে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, ইমানির অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার রয়েছে। যা মূলত ‘নিউরোএন্ডোক্রাইন’ গোত্রের। কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ নয়। শরীর থেকে টিউমারটি বাদ দেওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেটিতে ক্যানসারের কোষ রয়েছে এবং শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছে।
জেসিকা বলেছেন, “বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। ওই ঘড়িটি না থাকলে অস্বাভাবিক কিছু চোখেও পড়ত না। মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে আরও দেরি হত।”
‘অ্যাপল’ সংস্থার এই ঘড়িতে ইসিজি, রক্তচাপ, হার্ট রেটের মতো জীবনদায়ী কিছু বৈশিষ্ট্য থাকায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়।
কিছু দিন আগেই এক মহিলাকে এই ঘড়িই জানান দেয় ঋতুস্রাবের দিন পিছিয়ে যাওয়ার কথা। পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এমন অনেক নজির সৃষ্টি করছে ‘অ্যাপল’-এর এই স্মার্ট ঘড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy