পুজো মানেই রাত জাগা, মণ্ডপ ঘুরে ঠাকুর দেখা কিংবা দেদার আড্ডা। কিন্তু উৎসবের মরসুমে মুখে একটা ব্রণ উঠলে, চোখের নীচে কালি পড়লে বা ত্বক রুক্ষ দেখালে কারই বা মন ভাল থাকে? এই সব কিছুই হতে পারে যদি ত্বকের যত্ন নেওয়া না হয়, বিশেষত রাতে।
রাতে ঘুমের সময় ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনরুজ্জীবিত হয়। এই সময় ত্বকের বিশেষ যত্ন দরকার। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং তা ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
ক্লিনজ়িং
শুরুটা করুন ত্বক পরিষ্কার করে। দিনভর মুখে যে ধুলো-ময়লা লাগে তা রয়ে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া পুজো মানেই সাজগোজের সময় মেকআপ এবং প্রসাধনীর বাড়তি ব্যবহার হয়। সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব তুলে ফেলা দরকার। আগে মাইসেলার ওয়াটার বা নারকেল দিয়ে প্রসাধনী তুলে ফেলুন। মেকআপ, লিপস্টিক, কাজল, আইলাইনার তুলে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে মৃদু ফেসওয়াশ।
এক্সফোলিয়েশন: ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলার জন্য এক্সফোলিয়েশন জরুরি। বাজারচলতি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। না থাকলে চালেরগুঁড়ো জল বা দুধে গুলে মুখে লাগিয়ে মাসাজ় করে ধুয়ে নিন।
টোনার
ত্বকে নিয়মিত টোনার ব্যবহার করলে দেখবেন ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা দূর হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বাছুন। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষায় এটি কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বকে নিম, তুলসী, টি-ট্রি অয়েল, গ্রিন টি সমৃদ্ধ টোনার খুব ভাল কাজ করে। সাধারণ ত্বকে রোজ বা গোলাপের টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
সিরাম: ত্বকের পরিচর্যায় বেছে নিন প্রয়োজনমতো সিরাম। মুখে বলিরেখা থাকলে রেটিনল, ভিটামিন সি, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম ভাল। ব্রণ থাকলে ব্যবহার করুন নায়াসিনামাইড। ত্বকের ধরন শুষ্ক হলে ব্যবহার করুন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম।
ময়েশ্চারাইজ়ার: সিরাম ব্যবহারের পর মাখতে হবে ময়েশ্চারাইজ়ার। ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নেওয়া খুব জরুরি।
প্রতিটি ধাপের জন্য ২ মিনিট দিলে মোট সময় লাগবে ১০ মিনিট। তবে নিয়ম করে তা করলে সকালে উঠে মুখ দেখাবে ঝকঝকে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।