তেল মালিশ করছেন, শ্যাম্পু করছেন, তার পরেও রুক্ষ কেশ মসৃণ হচ্ছে না? চুল ঝরা নিয়ে যাঁরা পেশাগত ভাবে কাজ করেন, তাঁদের বক্তব্য, ধোঁয়া, ধুলো, দূষণ থেকেই চুলের সমস্যা বাড়ছে। নিয়মিত যত্ন না করলে, চুল রুক্ষ হয়ে যাবে, চুল ঝরবে স্বাভাবিক ভাবেই।
কিন্তু কী ভাবে সেই যত্ন করবেন? চুলের উপযোগী সঠিক প্রসাধনী বাছাই যেমন জরুরি, তেমনই জানা দরকার উপযুক্ত কৌশল। শ্যাম্পু করার ফলে চুলে ময়লা যেমন পরিষ্কার হয় তেমনই চুলের স্বাভাবিক তেলও উধাও হয়ে যায়। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে পারে। এমন সময় দরকার হয় ময়েশ্চারাইজ়ারের বর্ম। সে কারণে জল দিয়ে চুল একবার ধোয়ার পর আবার চুল ধুয়ে নিন। তবে জল নয়। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ উপকরণ।
জবাফুলের জল: জবাফুলের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। জবাতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন সি। এতে চুলের ফলিকলগুলি পুষ্টি পায়। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে চুল পুষ্টি পায়। জবা ফুল ধুয়ে নিন। পাপড়ি ছিঁড়ে জলে ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে চুল ধুয়ে নিন। জবার গুণেই চুলে জেল্লা ফিরবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন অনেকেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খান। তবে জিনিসটি চুলের জন্যও ভাল। খুশকি কমাতে, চুল মসৃণ রাখতে, ডগা ফাটার সমস্যায় তা কাজে আসে। শ্যাম্পু করে চুলে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তার পর দু’কাপ জলে ১ বা ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে চুলে স্প্রে করুন বা চুল ধুয়ে নিন। মাথায় সেটি পাঁচ মিনিট বসতে দিন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাসে ২-৩ বার ব্যবহারেই চুল হবে মসৃণ এবং নরম।
গ্রিন টি: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি। চুলের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি এবং রুক্ষ ভাব দূর করতে এটি ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টি-এর সঙ্গে ১ চা-চামচ মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। ২ কাপ গরম জলে ২-৩টি গ্রিন টি-ব্যাগ ভিজিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলের জল মুছে, গ্রিন টি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাথার ত্বকে আলতো চাপ দিয়ে মাসাজ করলেও উপকার মিলবে।