বয়স সংখ্যা মাত্র, প্রমাণ করেছেন বহু অভিনেত্রী। পঞ্চাশ পেরিয়েও ফিট, সুন্দরী এমন নায়িকার সংখ্যা কিন্তু কম নয়। ভাবছেন, গ্ল্যামার জগতে যা সহজ, দৈনন্দিন জীবনে তা নয়? তা হলে বদল আনুন খাদ্যাভ্যাসে, বলছেন দিল্লির পুষ্টিবিদ লভনীত বাটরা। সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। পুষ্টিবিদ্যার উপর বইও লিখেছেন তিনি।
লভনীত একটি পোস্টে বলছেন, উজ্জ্বল এবং সুন্দর ত্বকের চাবিকাঠি লুকিয়ে সঠিক খাদ্যাভ্যাসে। তারুণ্য ধরে রাখার মন্ত্রটি হল ভিটামিন সি। ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে মোকাবিলা করতে, পিগমেন্টশন (কালো ছোপ বা দাগ) কমাতে একাই একশো ভিটামিনটি। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায় ফ্রি র্যাডিক্যাল বেড়ে গেলে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কয়েকটি খাবার তালিকায় রাখলে ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখা মোটেই কঠিন নয়। কী সেগুলি?
আমলকি: ভিটামিন সি, ই এবং নানা প্রকারে খনিজে পূর্ণ আমলকি শুধু হজমে সহায়ক নয়, চুল এবং ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী। ১০০ গ্রাম আমলকিতে মেলে ২৫২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। ফলে দিনে কয়েক টুকরো আমলকি খেলেই শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি পাবে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় আমলকি ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করতেও সক্ষম।
পেয়ারা: ১০০ গ্রাম পেয়ারায় মেলে ২১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। কয়েক টুকরো ফল খেলেই দৈনন্দিন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ সম্ভব। ডায়াবেটিকেরাও এই ফল খেতে পারেন। ফাইবার সমৃদ্ধ ফলটি পেটের জন্যও ভাল। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন পেয়ারা।
ক্যাপসিকাম: সব্জি হিসাবে খাওয়া হয় ক্যাপসিকাম। ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে ১২৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি মেলে। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। কোলাজেন সংশ্লেষে ভিটামিন সি-এর ভূমিকা থাকে।
সজনেপাতা: সজনেগাছের পাতা এখন ‘মোরিঙ্গা পাউডার’ নামে প্যাকেটজাত হয়ে দেশে-বিদেশে বিক্রি হয়। ১০০ গ্রাম সজনেপাতায় ১০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি মেলে। এতে থাকা পলিফেনল ত্বক উজ্জ্বল করতে, কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ বলছেন, এই সমস্ত খাবার ত্বকের অন্যতম উপযোগী প্রোটিন কোলাজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে। কোলাজেনের পরিমাণ কমে যায় বলেই বয়স হলে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে, বলিরেখা দেখা দেয়। পেয়ারায় থাকা উপাদান কালচে দাগছোপ বা পিগমেন্টশন (ত্বকে মেলানিন রঞ্জকের আধিক্যের ফলে রঙের বদল) দূর করতে সাহায্য করে।