চুলের পুষ্টির জন্য তেল মাখেন এবং শীতেও সেই রুটিনে রাশ টানতে চান না এমন মানুষ কম নেই। কিন্তু গরম কালে চুলে যে ভাবে তেল দেওয়া হয়, শীতেও কি সেই একই নিয়মে তেল দেবেন? বদলে যাওয়া ঋতু সব কিছুই বদলে দেয়। বাতাসে ধুলোকণা বাড়ে, নামে তাপমাত্রাও। মাথার ত্বকেও তার জন্য নানা পরিবর্তন হয়। শীতে মাথায় তেল দেওয়ার আগে তাই কয়েকটি ভুল যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
কোন কোন ভুল করবেন না?
ঠান্ডা তেল ব্যবহার করা
শীতকালে তেল জমে বা অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা তেল সরাসরি মাথার ত্বকে লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয়ে যেতে পারে। তেল সামান্য ঈষদুষ্ণ বা হালকা গরম করে ব্যবহার করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছয়।
মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল দেওয়া
অনেকে মনে করেন বেশি তেল দিলে বেশি উপকার হবে। কিন্তু অতিরিক্ত তেল হেয়ার ফলিকলের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে এবং শ্যাম্পু করার পরও তেল চিটচিটে ভাব থেকে যেতে পারে। অল্প পরিমাণে তেল নিয়ে শুধুমাত্র মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজন হলে অল্প তেল চুলের ডগায় লাগান।
সারারাত তেল রেখে দেওয়া
সারারাত তেল রেখে দিলে অনেক ক্ষেত্রে মাথার ত্বকে ধুলো-ময়লা এবং জীবাণু জমে পোরস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত চুল বা খুশকির সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর। তেল মাখার পর ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি একান্তই সারারাত রাখতে চান, তবে খুব অল্প তেল ব্যবহার করুন এবং সকালে অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিন। যদি সর্দি-কাশি, সাইনোসাইটিসের প্রবণতা থাকে, তবে রাতে তেল মাখবেন না।
খুশকি থাকা অবস্থায় তেল দেওয়া
মাথার ত্বকে যদি খুশকি বা কোনো সংক্রমণ থাকে, তবে তেল ব্যবহার করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তেল খুশকির ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। প্রথমে খুশকির চিকিৎসা করুন এবং খুশকি পরিষ্কার হওয়ার পর তেল ব্যবহার শুরু করুন।
তেল মেখে চুল আঁচড়ানো
তেল মাখার পরে চুল আঁচড়ালে বা জোরে জোরে ঘষলে চুলের গোড়া দুর্বল হতে পারে এবং চুল ছিঁড়ে যেতে পারে। কারণ, তেল মাখার পর চুল নরম হয়ে যায়, তাই তখন আঁচড়ালে বেশি চুল পড়তে পারে। আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে গোল গোল করে মাসাজ করুন। তেল মাখার আগেই চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন।