গত দু’বছরে যা হয়নি, হয়েছে গত কয়েক দিনে। ব্রণ সারিয়েছে মোবাইল পরিষ্কারের ওয়াইপ্স। সমাজমাধ্যমে এমনই দাবি রূপচর্চা জগতের সঙ্গে যুক্ত কোমল বশিতের। কিন্তু জীবাণুনাশক রাসায়নিক দেওয়া ওয়াইপ্স কি ব্রণ সারাতে পারে? কী বলেন ত্বকের রোগের চিকিৎসক?
কোমল সম্প্রতি এক ভিডিয়োতে দাবি করেছেন, তাঁর ব্রণ সারার নেপথ্যে মোবাইল পরিষ্কারের ওয়াইপ্সই কাজ করেছে। তবে তা তিনি মুখে ব্যবহার করেননি। বরং নিয়মিত সেটি দিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনটি পরিষ্কার করে নিয়েছেন। কোমল বলছেন, তাঁর ত্বকে ব্রণের সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক কিছু করেছেন। পরিচ্ছন্নতায় নজর দিয়েছেন সব সময়। মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রেখেছেন। বিছানার চাদর পাল্টেছেন নিয়মিত। কিন্তু তার পরেও সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হচ্ছিল না। একসময় তিনি খেয়াল করলেন, একটি গালেই ব্রণ বাড়ছে আর সেই দিকের কানেই মোবাইল ধরে কথা বলতে অভ্যস্ত তিনি। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল কানে কথা বলেন। তা মাথায় আসতেই, মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কারের ওয়াইপ্স দিয়ে ফোনটি নিয়মিত পরিষ্কার করা শুরু করেন তিনি। কথা বলতে শুরু করেন, হেডফোনে। কোমলের দাবি, তাতেই ফল মিলেছে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু সত্যি কি মোবাইলের অপরিচ্ছন্ন স্ক্রিন ব্রণের কারণ হতে পারে? পরিচ্ছন্নতায় নজর দিলে ব্রণ সারানো সম্ভব হয়? ত্বকের রোগের চিকিৎসক অভীক শীল বলছেন, মোবাইলের স্ক্রিনের চেয়েও গুরুত্ব দেওয়া দরকার, মোবাইল কভারে। চামড়া, প্লাস্টিক, ধাতু, রবার— নানা রকম জিনিস কভারে ব্যবহার হয়।ব্যক্তি বিশেষের তা থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।তা থেকে কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মুখে জ্বালা, চুলকানি হতে পারে, মুখ লাল হয়ে যেতেও পারে। কারও ধাতুতে, কারও আবার চামড়ায় অসুবিধা থাকতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কারে ব্রণ সারানো যায় কি?
মোবাইলে স্ক্রিন পরিচ্ছন্ন রাখলে ত্বকের কিছু কিছু সংক্রমণ এড়ানো যেতে পারে, বিশেষত ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত। না হলে তা থেকে এগজ়িমা, ত্বকের অন্য সমস্যা হতে পারে। তবে মোবাইলের স্ক্রিন পরিষ্কার করলেই যে ব্রণ সেরে যাবে, তা কিন্তু বলা যায় না। উল্টে রাসায়নিক সমৃদ্ধ ওয়াইপ্স দিয়ে মোবাইলের স্ক্রিন মুছে সেটি তৎক্ষণাৎ গালে দিলে, তা থেকে ত্বকের ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকতে পারে। রাসায়নিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। তাই স্ক্রিন মুছলেও, সেটি ভাল ভাবে শুকোনোর পর ফোন কানে দেওয়া প্রয়োজন।