Advertisement
E-Paper

রাসায়নিক নয়, বৈদ্যুতিক যন্ত্রও লাগবে না, পুজোর মুখে বাড়িতেই চুল সোজা করার কৌশল জেনে নিন

সালোঁয় গিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারে চুল সোজা করায় আপত্তি? বাড়িতেও এই কাজ হতে পারে। জেনে নিন সহজ কৌশল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৪১
ঢেউ খেলানো চুল সোজা এবং মসৃণ করতে পারেন ঘরোয়া কৌশলেই। শিখে নিন পদ্ধতি।

ঢেউ খেলানো চুল সোজা এবং মসৃণ করতে পারেন ঘরোয়া কৌশলেই। শিখে নিন পদ্ধতি। ছবি: এআই।

চুল হবে সোজা, মসৃণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে ঘুরলেও জট পড়বে না, এমন ইচ্ছা থাকে অনেকেরই। ঢেউ খেলানো চুল যেমন অনেকের পছন্দ, আবার কেউ চান, সেই চুলই হয়ে উঠুক সোজা এবং মসৃণ।

কিন্তু সালোঁয় গিয়ে চুল সোজা করানোর খরচ, ঝক্কি আছেই, আছে ক্ষতির ভয়ও। রাসায়নিকের ব্যবহারে চুল সোজা করলে, চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। বাকি থাকে স্ট্রেটনার। তবে বার বার বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহারেও চুলের ক্ষতি অনিবার্য। তা হলে উপায়?

শখ পূরণের সহজ কৌশল

ঢেউ খেলানো চুল মসৃণ ও নরম হয়ে যায়, সঠিক ময়েশ্চারাইজ়েশনের গুণে।চুলে আর্দ্রতা জোগানো খুব জরুরি। সঙ্গে পরখ করে দেখুন নীচের কৌশলগুলি।

কৌশল ১

এই কায়দাতেও সাময়িক ভাবে চুল সোজা করা যায়।

এই কায়দাতেও সাময়িক ভাবে চুল সোজা করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।

চুলে ভাল করে তেল মাসাজ করে আধ ঘণ্টা রেখে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। তার পর ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। শুকনো চুলে মাখতে হবে সিরাম। এর পর চুল দুই বা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। চিরুনির সাহায্যে ভাল করে আঁচড়ে নিন। এ বার চুলের প্রতিটি অংশ আলাদা ভাবে আঙুলের সাহায্যে পেঁচিয়ে নিয়ে উপর থেকে সিল্কের ফিতে বেঁধে দিন। খেয়াল রাখতে হবে, এতে যেন চুল সোজা থাকে। চুল দু’ভাগে ভাগ করে শুধু নীচের অংশটি পেঁচিয়েও নিতে পারেন। তবে সমগ্র চুল সোজা করতে চাইলে চুল অনেক অংশে ভাগ করে কৌশলটি অলম্বন করতে হবে। অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা এই ভাবে রাখলে ভাল ফল মিলবে।

কৌশল ২

এই ভাবেও চুলের কোঁকড়ানো ভাব কিছুটা কমানো যায়।

এই ভাবেও চুলের কোঁকড়ানো ভাব কিছুটা কমানো যায়। ছবি: সংগৃহীত।

চুলে ভাল করে অ্যালো ভেরা জেল মাসাজ করে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহার জরুরি। অ্যালো ভেরার গুণে চুল নরম এবং মসৃণ হবে। চুল শুকোনোর ক্ষেত্রে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় ব্লোয়ার ব্যবহার করুন। এতে চুল শুকনোর সময়েই কিছুটা সোজা হয়ে যাবে। এর পর চুল কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিন। প্রতটি অংশ চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে উল্টো দিকে চুল রোল করে ক্লিপের সাহায্যে আটকে রাখুন। কপালের একেবারে সামনের দিকে চুলের অংশটি যে দিকে সিঁথি করতে চান, সেই দিকে ভাল করে আঁচড়ে ক্লিপের সাহায্যে আটকে দিন। এ ভাবে ঘণ্টা দুই-তিন রাখলেই চুল অনেকটাই সোজা এবং মসৃণ হয়ে যাবে।

পরিচর্যা: আর্দ্রতার অভাব ঘটলে চুল অনেক বেশি রুক্ষ এবং কোঁকড়ানো দেখায়। এ জন্য দরকার নিয়মিত পরিচর্যা। একবাটি নারকেলের দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে শ্যাম্পু করা চুলে ক্রিমের মতো মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলে জেল্লা ফিরবে। প্রতি সপ্তাহে যদি এ ভাবে চুলের মাস্ক ব্যবহার করা যায়, চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে এবং সোজা দেখাবে। ঢেঁড়স কেটে জলে ফুটিয়ে কাপড়ের সাহায্যে ক্বাথ বার করে নিন। চালের গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে সেটি অল্প আঁচে নাড়লে ক্রিমের মতো হয়ে যাবে। শ্যাম্পু করা চুলে এই মিশ্রণ হালকা হাতে মাসাজ় করুন। মাসে ২-৩ বারও যদি ব্যবহার করা যায়, ৬ মাসে রুক্ষ ভাব দূর হয়ে চুল অনেক বেশি মসৃণ হয়ে যাবে। কোঁকড়ানো বা ঢেউ খেলানো ভাব কমবে।

রাসায়নিকের সাহায্যে সালোঁয় যেমন চুল সোজা হয়, ঘরোয়া পন্থায় সেই ফল মিলবে না। তবে চুলের ক্ষতি না করে চুল সোজা করতে চাইলে এই কৌশল কিন্তু কাজের।

Hair Straightening Hair Styling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy