সাজগোজের সময় নেই। চুল বেঁধে চোখে কাজল আর একটু লিপস্টিক লাগিয়ে নিলেই হল। সাজগোজ জমকালো হোক বা সাদামাঠা, লিপস্টিক যেন সৌন্দর্যে পূর্ণতা আনে।
গাঢ় হোক বা ন্যুড— লিপস্টিক রং দেখে বাছাই করবেন না। ত্বকের রোগের চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, প্রসাধনীতে এমন অনেক উপাদান থাকে যা অ্যালার্জি এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। কলকাতার এক হাসপাতালের ত্বকের রোগের চিকিৎসক আশারানি ভোল অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘প্যারাবেন, বিপিএ— এই দুই উপাদানই ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। বিপিএ হল এন্ড্রোক্রাইন ডিজ়রাপ্টিং কেমিক্যাল যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।’’
মুম্বইয়ের চিকিৎসক মান্নান ভোরা সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োতে সতর্ক করেছেন, লিপস্টিক কেনার সময় দু’টি উপাদান দেখে নেওয়া দরকার। বিপিএ এবং প্যারাবেন।এই দুই উপাদানই ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিপিএ বা বিসফেনল এ মেলে মূলত প্লাস্টিকের কৌটোয়। প্রসাধনীতে প্লাস্টিকের কৌটোতে থাকলে এই রাসায়নিক থাকতে পারে। এই ধরনের উপাদান শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। একই সঙ্গে দেখা নেওয়া দরকার, এর মধ্যে মিথাইল প্যারাবেন বা প্রোপাইল প্যারাবেন আছে কি না। লিপস্টিকে ‘পিপিএ ফ্রি’ বা ‘প্যারাবেন ফ্রি’ লেখা থাকলে তবেই কেনা দরকার।
পাশাপাশি ত্বকের চিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, কোনও প্রসাধনী ব্যবহারের আগে মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা দরকার। ওষ্ঠরঞ্জনী ব্যবহারের আগেও লিপ বাম লাগিয়ে নেওয়া ভাল। তা ছাড়া, কিছু ক্ষণ অন্তর লিপস্টিকের উপর লিপস্টিক বুলিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও ক্ষতিকর হতে পারে। একই সঙ্গে আশারানি মনে করাচ্ছেন, দিনের শেষে মেকআপ ভাল করে তুলে তবেই ঘুমোতে যাওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব লিপস্টিক তুলে ফেললে কিছুটা হলেও ত্বকের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।