কখনও ১০ ধাপে বিবিধ সামগ্রী দিয়ে রূপচর্চা, কখনও বা চটজলদি ফেসিয়াল। কখনও প্রসাধনীর ঘনঘটা, কখনও বা দ্রুত সমাধান। কিন্তু অভিনেত্রী নার্গিস ফকরি তাঁর ত্বকচর্চায় এই সমস্ত নিয়মে বিশ্বাস রাখেন না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যেকেই চান, যে কোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাক। কিন্তু তেমন কিছুর অস্তিত্বই নেই।’’ ‘রকস্টার’-এর নায়িকার যাপনে দ্রুত সমাধানের কোনও জায়গা নেই। জীবনে তিনটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁর রূপচর্চা। সেই তিন স্তম্ভ হল তিন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। যেগুলি মিলিয়েই তৈরি হয়েছে নার্গিসের রূপসৌন্দর্যের সূত্র।
ঘুমের পরিমাণ: প্রতি দিন আট ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি বলে মনে করেন নার্গিস। রূপ ধরে রাখার নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
শরীরে জলের পরিমাণ: শরীরে জলের পরিমাণ যেন সঠিক থাকে, সে দিকে নজর রাখার অভ্যাসকে গুরুত্ব দেন নার্গিস। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ে ও শুষ্ক ভাব রোধ করে।
খাবার নির্বাচন: নিজের খাদ্যতালিকায় এমন এমন খাবার রাখাতে হবে, যেগুলি ভিটামিন, খনিজ ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
নার্গিসের রূপসৌন্দর্যের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথমত, রাতের ঘুম ক্রমাগত ব্যাহত হতে থাকলে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ে, চোখ ফুলে, চোখের তলায় কালি পড়ে, ত্বকের রং অসম হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, রোজ প্রায় ৮–১০ গ্লাস জল পান করা উচিত। তবেই শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে হতে পারবে। তৃতীয়ত, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সব্জি, ফল, বাদাম আর শাকজাতীয় খাবার গেলে এগুলি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে পারে। এই তিনটি অভ্যাস মিলিয়ে কাজ করলে ত্বকের কোমলতা, রং ও দীপ্তি বজায় রাখার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায় বলে মনে করেন নায়িকা। ঘুমের ফলে বাড়ে কোলাজেনের পরিমাণ, হাইড্রেশন বা জলের সঠিক পরিমাণ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়, আর সঠিক খাবার দেহকে প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পুষ্টি দেয়। অত্যধিক মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভাল, নয়তো ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে দিতে পারে এই অভ্যাসগুলিই।