ত্বকে জেল্লা হবে তারকাদের মতো। মেকআপ না করেই গালে হালকা গোলাপি আভা থাকবে। এমন ইচ্ছা তো সকলেরই। বিজ্ঞাপন দেখে তাই অনেকেই নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতে যে বিশেষ কিছু লাভ হয়, তা কিন্তু নয়। বরং রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী বেশি ব্যবহার করলে ত্বক আরও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। সমাধানের পথও ভিন্ন ভিন্ন। তবে সব সমস্যার উৎস কিন্তু একটাই, ত্বকের কোষে জমে থাকা ‘টক্সিন’। ব্রণ থেকে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারানো— সব কিছুর জন্যই দায়ী সেটিই। তাই ত্বককে জেল্লাদার করে তুলতে হলে আগে টক্সিন-মুক্ত করতে হবে। তার জন্য কোনও বাজারচলতি নামী-দামি প্রসাধনীর দরকার হবে না। একটি পানীয়েই মুশকিল আসান হবে।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই ত্বকের টান টান ভাব চলে যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটি বিশেষ রকম ‘ডিটক্স’ পানীয়। ত্বক চিকিৎসকেরা বলেন, গোলাপি শরবত। নিয়মিত পান করলে, ত্বকের কোষে কোলাজেন তৈরি হবে, মেলানিন রঞ্জকের ভারসাম্য বজায় থাকবে। শুধু তাই নয়, ত্বকের মৃতকোষ দূর করে, নতুন কোষের পুনর্গঠনেও সাহায্য করবে এই শরবত।
এখন কথা হল, সকলের ত্বক সমান নয়। কারও তৈলাক্ত, কারও শুষ্ক, আবার কারও স্পর্শকাতর। তাই পরিচর্যার ধরনও আলাদা হওয়াই উচিত। কিন্তু এই গোলাপি শরবত যে কোনও ত্বকের জন্যই উপকারী। কেন, তার কিছু কারণ আছে। এমন কিছু উপকরণ এতে মেশানো হয়, যাদের সব ধরনের ত্বকের জন্য ভাল।
কী কী মিশিয়ে শরবত বানাবেন?
বিটরুট, লেবু, মুসাম্বি, শশা ও পুদিনা— এই পাঁচ উপকরণই যথেষ্ট। এগুলির সবক’টিই সহজলভ্য। কাজেই বাড়িতে রোজ এই শরবত বানিয়ে খাওয়া যেতেই পারেন। এর প্রতিটি উপাদানই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিনে ভরপুর। তাই ত্বকের প্রদাহও কমবে। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা হবে না। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
প্রণালী
বিটরুট ছোট ছোট করে ধুয়ে নিতে হবে। একটি গোটা পাতিলেবু ও মুসাম্বি লেবু ধুয়ে নিন। শশা ছোট ছোট টুকরো করে নিন। আর লাগবে একমুঠো পুদিনা পাতা।
সমস্ত উপকরণ এক লিটার মাপের একটি কাঁচের জারে নিয়ে সেটি জল দিয়ে ভর্তি করুন। এ বার ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
শশা, লেবু, বিট, মুসাম্বি ভাল করে ভিজতে দিন। ঘণ্টা তিনেক বাদে পানীয়টি ভাল করে নেড়ে নিন। এতে হালকা গোলাপি রং আসবে। দিনে দু’বার এই পানীয় পান করতে হবে। প্রতি দিন যদি এই গোলাপি শরবত পান করেন, তা হলে শরীর যেমন ডিটক্স হবে, তেমনই ত্বকও, সাত দিনের মধ্যে ত্বকের জেল্লা ফিরবে।