শীত পড়লেই বদলে যায় আবহাওয়া। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা কমতে থাকে। জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় রুক্ষ ভাব তৈরি হয়। তার প্রভাব পড়ে চুল এবং ত্বকে।
বছরের অন্য সময়ে যে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করে ত্বক মসৃণ থাকে, এই সময়ে সেই ময়েশ্চারাইজ়ারটিও কাজ করে না। তা মাখার পরেও ত্বক রুক্ষ হতে থাকে। তেমনটাই হয় চুলের ক্ষেত্রেও। সারা বছর খুশকির সমস্যা নেই। হঠাৎ করেই শীত এলে মাথার ত্বক থেকে সাদা গুঁড়ো উঠতে শুরু করে।
আরও পড়ুন:
শীতের চুলের সমস্যা রুখতে হলে পরিচর্যা প্রয়োজন শীত আসার ঠিক আগেই। কারণ, এমন সময় থেকেই আবহাওয়া বদলাতে শুরু করে।
১। চুল ভাল রাখতে হলে মাথার ত্বকের যত্ন জরুরি। এই সময় তেল মাসাজ করলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। নারকেল তেল বছরভর মাখাই যায়, চাইলে হোহোবা অয়েল, বা ক্যাস্টর অয়েল দিয়েও মাসাজ় করা যেতে পারে। মাথার ত্বকে আর্দ্র ভাব জোগাতে, আর্দ্রতা ধরে রাখতে এই ধরনের তেল সাহায্য করে। আর্গান অয়েল, হোহোবা অয়েলে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুল মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
২। এই সময় যেহেতু মাথার ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, তাই সারা বছর যে শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তা বদলের দরকার হতে পারে। শুষ্ক চুলের জন্য বিশেষ ফর্মুলায় শ্যাম্পু তৈরি হয়। শ্যাম্পু-কন্ডিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিন।
৩। শীত আসার আগে থেকেই গরম জলে স্নানের প্রবণতা তৈরি হয়। ত্বক বা চুলের জন্য গরম জল কিন্তু ভাল নয়। ঈষদু্ষ্ণ জলে স্নান করা যেতে পারে, তবে সেটি গরম হলেই সমস্যা। গরম জল ত্বক, চুল দুই-ই রুক্ষ করে তোলে।
৪। শীতের মরসুমেও অফিসগুলিতে টানা বাতানুকূল যন্ত্র চলে। এসি চললে, এমনিতেই জলীয় বাষ্প কমে যায়, হাত-পা শুষ্ক হয়ে যায়। শীত শুরুর মরসুম থেকে এই সমস্যা বাড়ে। মূলত ত্বক এবং চুলের ধরন শুষ্ক হলে সমস্যা বেশি হয়। এসি ঘরে থাকলে বার বার ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। চুলেও নিয়ম করে তেল মাখা, কন্ডিশনার দেওয়া দরকার।
সমাধানের জরুরি শর্ত
শুধু কেশচর্চা বা প্রসাধনী বদল যথেষ্ট নয়। শীতের সমস্যার মোকাবিলায় পুষ্টির দিকটিও খেয়াল করা জরুরি। শীত পড়ার আগে থেকেই ঘাম কম হয়। ফলে জলের তেষ্টা কমে যায়। অনেকেই নিয়ম করে জল খান না। পর্যাপ্ত জলের অভাব হলে চুলও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া মরসুমের টাটকা শাকসব্জি এবং স্যুপ খেলে চুল ভাল থাকবে।