লিপস্টিক কি ঠোঁটের জন্য ভাল? ছবি- সংগৃহীত
সারা বছর মুখের জেল্লা ধরে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু মাখেন। কিন্তু মুখের মধ্যেই ছোট্ট অংশ জুড়ে যে দু’টি ঠোঁট রয়েছে, তার যত্নে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। শুধু বাইরে যাওয়ার সময়ে ঠোঁটে একটু লিপস্টিক ঘষে নিয়েই বেরিয়ে পড়েন। আর ঠোঁট ফাটলে ‘পেট্রোলিয়াম জেলি’ ব্যাস।
গায়ের রং চাপা বলে কম বয়স থেকেই গাঢ় রঙের লিপস্টিক মাখার অভ্যাস। কিন্তু তখন ঠোঁটে এত কালচে ছোপ লক্ষ্য করেননি। অথচ ধূমপান করারও তেমন অভ্যাস নেই। তা হলে সমস্যাটা কোথায়?
চর্মরোগ চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ লিপস্টিকেরই রং গাঢ় করার জন্য বিশেষ ধরনের কিছু ধাতব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তা ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকারক। তা-ও হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করলে এক রকম। কিন্তু গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিনের পর দিন মাখতে থাকলে ঠোঁটে সেই রঙের কষ স্থায়ী ভাবে থেকে যেতে পারে। এ ছাড়াও লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে বা পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে।
গাঢ় লিপস্টিক ছাড়া আর কী কী থেকে বিরত থাকবেন?
১) ঠোঁট কামড়ানো বা চাটা
ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলেও কালো ছোপ পড়তে পারে। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁট শুকিয়ে গেলে, জিভ দিয়ে বার বার ঠোঁট চাটা বা ঠোঁট কামড়ালেও দাগ হতে পারে।
২) ধূমপান
যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়। সিগারেটে থাকা নিকোটিন ঠোঁটের ত্বকে, রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটায়। তার প্রভাবেই ঠোঁট এবং সেই সংলগ্ন অঞ্চলে কালচে ছোপ পড়ে।
ঠোঁটের যত্নে কী কী করবেন?
১) ‘এসপিএফ’ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।
২) যতটা সম্ভব হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
৩) দিনে দু’বারের বেশি লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না।
৪) শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই লিপস্টিক তুলে নেবেন।
৫) মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy