Advertisement
E-Paper

ক্লিনজ়ার না ফেসওয়াশ, নিয়মিত মুখ পরিষ্কারের জন্য কোনটি ভাল?

ক্লিনজ়ার এবং ফেসওয়াশ ব্যবহার করা হয় ত্বক থেকে ধুলো-ময়লা পরিষ্কারের জন্য। কিন্তু এই দু’টির মধ্যে থেকে আপনি বেছে নেবেন কোনটি, কেনই বা নেবেন?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯
ক্লিনজ়ার না ফেস ওয়াশ, মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য কোনটি ব্যবহার করবেন?

ক্লিনজ়ার না ফেস ওয়াশ, মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য কোনটি ব্যবহার করবেন? ছবি: সংগৃহীত।

ত্বকের পরিচর্যার প্রথম ধাপটি হল ক্লিনজ়িং। ত্বককে পরিষ্কার রাখা। হাতের কাছে ক্লিনজ়ার আছে আবার ফেসওয়াশও। দু’টির কাজই ত্বক পরিষ্কার করা। তা হলে ব্যবহার করবেন কোনটি? তার আগে জানা দরকার, ক্লিনজ়ার এবং ফেস ওয়াশের তফাত কোথায়?

ক্লিনজ়ার হল লোশন, যা ত্বকে লেগে থাকা প্রসাধনী, ধুলো ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফেস ওয়াশের কাজও তাই। মুখ পরিষ্কার করা। তবে এটি ভিজে মুখে মাখতে হয়। কোনও কোনও ফেসওয়াশে ফেনা হয়। তার পর জল দিয়ে মুখ ধুতে হয়। ফেস ওয়াশে ত্বক আরও ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়।

ক্লিনজ়ার

নামেই স্পষ্ট জিনিসটির কাজ, মুখ এবং ত্বক পরিষ্কার করা। ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরত, আই লাইনার, মাস্কারা হোক বা লিপস্টিক— জলের ঝাপটায় বা ফেস ওয়াশ দিয়ে ভাল ভাবে পরিষ্কার হয় না। বিশেষত ঠোঁটে লেগে থাকা লিপস্টিক, চোখের কোনে লেগে থাকা কাজল। তখনই প্রয়োজন হয় ক্লিনজ়ারের। মুখে ক্লিনজ়ার লাগিয়ে তুলোর সাহায্যে হালকা ঘষলেই ধীরে ধীরে ত্বকের উপরি স্তরের ধুলো-ময়লা এবং মেকআপ উঠে আসে। অনেকে আবার মেকআপ শুরুর আগেই ক্লিনজার ব্যবহার করেন। তার কারণও আছে। রূপটান বিশেষজ্ঞেরা বলেন, মুখ হল ক্যানভাস। মেকআপ শুরুর আগে তার প্রস্তুতি প্রয়োজন। সেই প্রস্তুতির প্রথম ধাপই হল ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া।

ত্বক অনুযায়ী বাছুন

ক্লিনজ়ার হিসাবে ক্লিনজ়িং মিল্ক ব্যবহার করা হয়। তবে, শুষ্ক, তৈলাক্ত , ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য আলাদা ফর্মুলার বিভিন্ন রকম ক্লিনজ়ার হয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজ়ার বাছাই করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সুবিধা

রাস্তাঘাটে মুখ পরিষ্কারের দরকার হলে, হাতের কাছে জল না থাকলে ক্লিনজ়িং মিল্ক বা কোনও ফেশিয়াল ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা সহজ হয়। পাশাপাশি ত্বক শুষ্ক হলে ক্লিনজ়িং মিল্ক বিশেষ উপযোগী হয়। এটির ব্যবহারে ত্বক চট করে শুষ্ক হয় না।

ফেসওয়াশ

এটিও এক ধরনের ক্লিনজ়ার। সাবানের চেয়ে মৃদু, ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়ক। মুখ জলে ভিজিয়ে ফেসওয়াশ দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করতে হয়। ক্লিনজ়ারের চেয়ে ত্বক জমে যাওয়া ধুলো-ময়লা, তেল এটি আরও ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে পারে।

সুবিধা

১. যে কোনও ত্বকের জন্যই আলাদা আলদা ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে ক্লিনজ়ারের তুলনায় ফেসওয়াশ বিশেষ কার্যকর হয়। কারণ এটি ত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল, ক্লিনজ়ারের চেয়ে বেশি ভাল করে পরিষ্কার করে। তেল জমে থাকলেই ব্রণ এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

২. সারা দিন ঘোরাঘুরির পর ঘেমে যাওয়া চোখ-মুখ পরিষ্কারের জন্য ফেসওয়াশই ভাল। প্রথমত জলের ঝাপটায় শরীর তরতাজা লাগে। দ্বিতীয়ত, ধুলো-ময়লাও এতে ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়।

তা হলে কে, কোনটি ব্যবহার করবেন?

বাইরে বেরোতে হলে একটু-আধটু মেকআপ সকলেই করে থাকেন। অনুষ্ঠানে যেতে হলে মেকআপের পরত আরও পুরু হয়। তারই অঙ্গ হিসাবে জুড়ে যায় কাজল, আইলাইনার, মাস্কারা, আইশ্যাডো, লিপস্টিক ব্লাশ। এ গুলি পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজ়ার ভাল। তাই প্রথম ধাপে ক্লিনজার দিয়ে কাজল, ফাউন্ডেশন, লিপস্টিকের পরত তুলে তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ত্বক ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়। পর পর দু’টি ধাপকে বলা হয় ‘ডাবল ক্লিনজ়িং’। নিয়মিত মেকআপ করার প্রয়োজন হলে, ত্বক ভাল রাখতে ‘ডাবল ক্লিনজ়িং’ বেশ জরুরি।

Beauty Tips Double Cleansing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy