সব চপেটাঘাতই নাকি খারাপ নয়। কিছু থাপ্পড়ে আবার বেড়ে যায় ঔজ্জ্বল্য। আজব এই ত্বকচর্চার কথা কোনও দিন শুনেছেন? কোরিয়ায় কিন্তু এই পদ্ধতিও খুব জনপ্রিয়। কোরিয়ার ত্বকচর্চার টোটকা তো গোটা বিশ্ব জয় করতে চলেছে। তা হলে চড়-থাপ্পড় মেরে ত্বকচর্চার পদ্ধতিই বা বাদ যাবে কেন? মাসাজও করাতে পারেন, আবার নিজেকে থাপ্পড় মারা শিখতে পারেন। তবে রাগের থাপ্পড়ের মতো তীব্রতা নেই এই চড়ে। আলতো থাপ্পড়েই কাজ হবে এ ক্ষেত্রে।
কী কী উপকার মিলবে জানেন?
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: মুখের ত্বকে পর পর থাপ্পড় মারলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয় এবং পুষ্টির জোগান মেলে। ফলে মুখের ত্বকে জেল্লা ফেরে, ঔজ্জ্বল্য দেখা দেয়।
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস পেয়ে চোখে-মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যেতে পারে। তাই ত্বকের জন্য কোলাজেনের প্রয়োজন খুব বেশি। মুখে আলতো থাপ্পড় কোলাজেন এবং ইলাস্টেন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে পারে।

মুখে আলতো থাপ্পড় কোলাজেন এবং ইলাস্টেন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক টানটান করে: মুখের ত্বকের রোমকূপগুলি প্রসারিত হয়ে স্পষ্ট হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। সে ক্ষেত্রে ত্বক টানটান, কোমল করতে চড়-থাপ্পড়ের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।
ত্বকে প্রসাধনীর শোষণ: ক্লিনজ়িং বা ত্বক পরিষ্কারের পর সিরাম, ময়েশ্চারাইজ়ার, ফেস অয়েল মাখার অভ্যাস রয়েছে। সেগুলি মাখার সময়ে চপেটাঘাতের টোটকা প্রয়োগ করতে পারেন। মুখে ঘষে ঘষে সামগ্রীগুলি ত্বকের ভিতরে পৌঁছাতে পারে না সব সময়ে। কিন্তু চড় মেরে মেরে সামগ্রী ব্যবহার করলে ত্বকের ভিতরের স্তরে প্রবেশ করতে পারে সেগুলি।
আরও পড়ুন:
চপেটাঘাতে ত্বকচর্চার সীমাবদ্ধতা
এই টোটকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ত্বকে প্রসাধনীর শোষণের বিষয়ে অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে। অনেকেই লক্ষ করে দেখেছেন, চড় মেরে মেরে ক্রিম, সিরাম মাখতে গিয়ে আসলে হাওয়ায় বাষ্পীভূত হয়ে যাচ্ছে খানিকটা, নয়তো হাতে মিশে যাচ্ছে। গালের ত্বকে পৌঁছচ্ছে না। তাই এই পদ্ধতিতে কিছু সামগ্রী মাখার বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এর থেকে ফেস মাসাজ নাকি বেশি কার্যকরী। বার বার চড় মারলে ত্বকের সূক্ষ্ম রক্তজালিকাগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, ব্রণ-প্রবণ, তাঁদের এই পদ্ধতি একেবারেই প্রয়োগ করা উচিত নয়।