কোমর ছোঁয়া চুলের স্বপ্ন সব মেয়েরই থাকে। কিন্তু ব্যস্ত জীবন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ এবং সঠিক যত্নের অভাবে চুলের মান খারাপ হতে শুরু করে। অনেকেই আবার চুলে রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার করেন। কিছু দিন নায়িকাদের মতো চুল জেল্লাদার হয়ে উঠলেও আদতে তা ক্ষতিই করে। ‘হেয়ার এক্সটেনশন’এর মতো কায়দা করলেও কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। তবে আয়ুর্বেদে কিন্তু এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। নিয়ম করে পাঁচ ভেষজ তেল মাখলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আরও পড়ুন:
কোন কোন তেল মাখলে চুল সুন্দর হবে?
১) আমলকির তেল
চুলের গোড়া মজবুত করতে আমলকির তেল দারুণ কাজ করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকির তেল অকালপক্বতা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
২) কেশুত পাতার তেল
অকালে চুলে পাক ধরলে কেশুত পাতার তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে নতুন চুলও গজায়।
৩) নিমের তেল
নিমফলের বীজ এবং পাতা থেকে তৈরি এই তেল খুশকির যম। নিমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ রুখে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
৪) কাঠবাদামের তেল
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ কাঠবাদামের তেল, চুলকে দূষণজনিত নানা ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। রুক্ষ, নির্জীব চুলকে উজ্জ্বল করে তুলতে কাঠবাদামের তেল উপকারী।
৫) থানকুনি পাতার তেল
চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে থানকুনি পাতার তেল বেশ কার্যকরী। মাথার ত্বকে সংক্রমণ রুখে দিতে পারে এই ভেষজ দিয়ে তৈরি তেল। মাথার ত্বক ভাল থাকলে চুল এমনিতেই ভাল হবে।