ট্যাটু করানোর সময়ে থেকে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত
আগে ছিল উল্কি। কিছু কিছু সম্প্রদায় জীবনের বিশেষ কোনও ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে শরীরে বিভিন্ন অংশে এই উল্কি করিয়ে রাখতেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্যাটুর কার্যকারণ বদলে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন, কেউ আবার গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন।
আপনারও কি ট্যাটু করানোর শখ হয়েছে? তবে জানেন কি ট্যাটু করানোর আগে ও পরে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম? কোথা থেকে ট্যাটু করাচ্ছেন, সেটা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ট্যাটু করানোর সময়ে থেকে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি। ত্বকের মারাত্মক সমস্যাও হানা দিতে পারে এর হাত ধরে। তাই আগে থাকতেই মেনে চলুন কিছু সাবধানতা!
১) শরীরে কোনও জায়গায় ক্ষত থাকলে সেখানে ট্যাটু না করানোই শ্রেয়। অনেকেই ক্ষত ঢাকতে ট্যাটু করান। তা কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। যিনি ট্যাটু করাচ্ছেন, তার কাছ থেকে জেনে নিন কোন জায়গায় ট্যাটু করালে অসুবিধায় পড়তে হবে না। সেই মতো শিরার অবস্থান দেখে ট্যাটু করান।
২) ইঞ্জেকশন নেওয়ার সময়ে তার সূচটি যেমন পরখ করে নেন নতুন কি না, ট্যাটুর ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক রকম। কারণ যে সূচটি দিয়ে ট্যাটু তৈরি করা হচ্ছে, তা নতুন না হলে সেখান থেকে রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
৩) যে সব সরঞ্জাম দিয়ে ট্যাটু করা হবে, তা আদৌ পরিষ্কার তো? পরখ করে নিন সেটিও। যেখানে ট্যাটু করাত যাচ্ছেন, সেই জায়গার বিষয়ে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে যান। প্রয়োজন পড়লে এই সব ক্ষেত্রে গ্রাহকদের রেটিংও কাজ দেবে।
৪) যিনি ট্যাটু করছেন, তিনি যাতে ট্যাটু করার সময়ে হাতে গ্লাভ্স পরেন, সেটি লক্ষ করে নিতে ভুলবেন না যেন। নইলে সেই ব্যক্তির থেকেও নানা রকম অসুখ বা সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
৫) ট্যাটু করার পর ওই জায়গায় বিশেষ ধরনের ক্রিম বা ওষুধ দেওয়া হয়। সেই জন্য যিনি ট্যাটু করছেন, তাঁর থেকে জেনে নিন কী জাতীয় ক্রিম তিনি ব্যবহার করছেন। তা আদৌ ভাল মানের কি না, তা যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy