বড়দিন হোক বা দীপাবলি— বলিউডের কপূর পরিবার সব ছেড়েছুড়ে জড়ো হয় একসঙ্গে। ছেলে-মেয়ে-বউমা-জামাই-নাতি-নাতনিরা সব এক এক জন তারকা। তবে উৎসবের সময় হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় ঠিকই বার করে নেন তাঁরা। সেজেগুজে হাজির হন কপূর ম্যানসনে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দীপাবলির আগের রাতে ছিল অনুষ্ঠান। যেখানে করিশ্মা কপূর, আলিয়া ভট্ট থেকে শুরু করে রণবীর কপূর, করিনা কপূর, সইফ আলি খানেরা সবাই এলেন একের পর এক। নজর কাড়লো তাঁদের সাজগোজও।
বলিউডের কপূর পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে জুড়েছেন পটৌডিরাও। করিনা বিয়ে করেছেন পটৌডির নবাব সইফকে। তাই কপূর পরিবারের অনুষ্ঠানে সপরিবার আমন্ত্রিত থাকেন সইফও। দীপাবলির অনুষ্ঠানেও সইফ আর করিনার সঙ্গে কপূরদের বাড়িতে এসেছিলেন অভিনেত্রী সোহা আলি খান।
সইফ ইদানীং প্রায়শই ধূতি-পাঞ্জাবি পরছেন। সেই পাঞ্জাবি আবার বাঙালি পাঞ্জাবির আদলের। দীপাবলিতে কপূরদের পার্টির জন্য সইফ বেছে নিয়েছেন টকটকে লাল সিল্কের উপর সাদা সুতোর সরু নকশা কাটা বোতাম খেলা বড়ুয়া কলার পাঞ্জাবি আর কোরা রঙের ধূতি।
উৎসবে মহিলাদের জমকালো সাজ বললে এ যুগেও প্রথমে শাড়ির কথাই মনে আসে। কারণ শাড়ি হল সেই পোশাক, যা যে কোনও অনুষ্ঠানে শুধু মাননসই নয়, বাকি পোশাককে টেক্কা দেওয়ার মতোও। কপূরদের দীপাবলির অনুষ্ঠানে অবশ্য শাড়ির দেখা মিললই না সে ভাবে। সইফের বোন সোহা আলি খান পরেছিলেন একটি টকটকে লাল রঙের সারারা। হাঁটু ঝুল, কাঁধে ফিতে বাঁধা চুমকি আর সুতোর নকশা করা জর্জেটের টপের সঙ্গে ঘের দেওয়া পাজামা। তার সঙ্গে ঘাড় ছোঁয়া খোলা চুল আর লাল টিপে মিষ্টি দেখাচ্ছিল সোহাকে।
কপূর কন্যা করিশ্মা আবার বেছে নিয়েছিলেন সাদা-কালো। তিনিও শাড়ি পরেননি। তাঁর লম্বাঝুলের কুর্তা আধাআধি ভাগ করা সাদা-কালোয়। বুকের মাঝামাঝি রত্নখচিত একটি গাছ। সঙ্গে একই ধরনের উজ্জ্বল পাথর বসানো কালো পালাজ়ো প্যান্ট। তাঁর পোশাকটি নকশা করেছেন পোশাকশিল্পী মাসাবা গুপ্ত।
কপূরদের উৎসবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছিলেন ননদ আর ভ্রাতৃজায়া করিনা এবং আলিয়া। করিনা বাকিদের মতো শাড়ি না পরলেও কপূর বাড়ির বউমা আলিয়া এসেছিলেন শাড়ি পরেই। দু’জনকেই সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন পোশাক পরিকল্পক রিয়া কপূর।
করিনা হাজির হয়েছিলেন ছাই-নীল রঙের একটি লেহঙ্গা আর তার সঙ্গে রাজস্থানি কায়দার লম্বা ঝুলের ব্লাউজ় পরে। গায়ে নিয়েছিলেন একই রঙের কোটা দরিয়ার উপর জরির লতাপাতার নকশা করা ওড়না। টেনে বাঁধা খোঁপায় জড়িয়ে নিয়েছিলেন জুঁইয়ের মালা। লাল-কালো-সোনালির ভিড়ে আলাদা করে নজরে পড়ছিল তার পোশাকের ‘পাউডার ব্লু’ রং। সমাজমাধ্যমে সেই সাজের ছবি দেখে ভক্তেরা করিনাকে ডাকছেন ‘দেশি সিন্ডারেলা’ বলে।
আলিয়া পরেছিলেন রিতু কুমারের নকশা করা সোনালি পুঁতির কাজের পিচ রঙের শাড়ি। সঙ্গে একই রঙের ব্রালেট এবং কোমর ছোঁয়া জ্যাকেট। আর কুন্দনের গলা জুড়ে থাকা নেকলেস। সামনে শীত। শাড়ির সঙ্গে একই রঙের জ্যাকেটকে ব্লাউজ়ের মতো পরার এই স্টাইল এ বছরের শীতের সাজের তার বেঁধে দিল বলেও মনে করছেন অনেকে।
কপূর পরিবারের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সইফ-পুত্র ইব্রাহিম। এসেছিল তৈমুর এবং জাহাঙ্গিরও। তিন ভাইয়ের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইব্রাহিম-ই।
এ ছাড়াও কপূরদের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নীতু কপূর, রণধীর কপূর, ববিতা কপূর, আদর জৈন-সহ অন্যান্য সদস্যেরাও। তবে অন্যান্য বারের মতো গ্রুপ ফটোতে তাঁদের পাশে রণবীর কপূর বা সারা আলি খানেদের দেখা গেল না।