ত্বকে বেমালুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে। ঠিক পঞ্চমীর রাতে দেখলেন গালের একটি অংশ লাল হতে শুরু করেছে। চিন্তায় পরলেন। গালে বরফ, চন্দন, নিমপাতা বাটা সব লাগিয়ে ফেললেন। কিন্তু তার পরেও ষষ্ঠীর সকালে সেখানে মাথা তুলল ব্রণ!
এমন অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনেকেই মেলাতে পারবেন নিজেকে। আর তাই পুজোর দিন দশেক আগে মাথায় সেই টেনশনও টিকটিক করে বলতে থাকবে— পুজোর সময় ব্রণ হবে না তো? তেমন হলে ফেশিয়াল, মাস্ক, যাবতীয় সুন্দর হওয়ার চেষ্টা মাটি। তবে জানেন কি চাইলে এই ব্রণর উৎপাত দূরে রাখতে পারেন!
পুজোর আগে আর দশ দিনও হাতে নেই। এখন থেকেই সাবধান হলে সমাধান মিলতে পারে। সমস্যাটি যদি হরমোন বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে জড়িত হয়, তবে আলাদা কথা। সে ক্ষেত্রে এই সমাধান পুরোপুরি কাজে আসবে না। অন্যথায় এই টোটকা কাজে আসতে পারে।
১। ত্বক পরিষ্কার রাখা
দিনে দু’বার (সকাল এবং রাতে) ভালো মানের, হালকা ফেস ওয়াশ দিয়ে রোজ মুখের ত্বক পরিষ্কার করার পর হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখুন। কারণ ত্বক শুষ্ক থাকলে তেল নিঃসরণ হয় বেশি। আর সেই তৈলাক্ত পদার্থই ত্বকের রন্ধ্রে জমে ময়লা জমিয়ে সমস্যা তৈরি করে। ব্রণ হয়।
আরও পড়ুন:
২। খাওয়াদাওয়া
স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তৈলাক্ত, ভাজাভুজি এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার ত্বকের জন্য উপকারী। ভিটামিন সি এবং ই যুক্ত খাবার আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩। জলপান
সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। এতে আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। ত্বকও থাকবে আর্দ্র। যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
৪। মেকআপ এবং সানস্ক্রিন
কম মেকআপ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যখনই মেকআপ ব্যবহার করবেন, খেয়াল রাখবেন তা যেন ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে না অর্থাৎ নন-কমেডোজেনিক হয়। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলবেন। আর সকালে বাইরে বেরোনোর আগে নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
৫। পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক শান্তি
প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘন্টা গভীর ঘুম জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা ব্রণের কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যোগব্যায়াম, ধ্যান অথবা আপনার পছন্দের কাজ বেশি করে করুন। মানসিক চাপ ব্রণ হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।