সর্দিকাশি হলে আদা চা, তুলসী-মধু ফুটিয়ে খাওয়ার চল বহু দিনের। তবে কোভিডকালে নতুন করে চর্চা শুরু হয় ‘কাড়া’ নিয়ে। ভারতীয় হেঁশেলের রকমারি মশলাপাতি ভেষজগুণে সমৃদ্ধ এই পানীয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সেই সময় নিয়মিত গরমমশলা ফোটানো উষ্ণ পানীয় জলেই চুমুক দিয়েছিলেন অনেকে।
তবে শুধু জ্বরজারি দূরে রাখা নয়, ভেষজের গুণ ফেরাতে পারে ত্বকের লালিত্যও। কালীপুজো, দীপাবলির আগে মুখের জেল্লা ফেরাতে হলে দিনে এক বার চুমুক দিতে পারেন বিশেষ ‘কাড়া’য়।
কী ভাবে বানাবেন?
হলুদ, তুলসী, মধুর গুণ অনেক। এগুলি শুধু রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাই বৃদ্ধি করে না, এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, প্রদাহনাশক উপাদান ভিতর থেকে ত্বককে ভাল রাখে। ত্বকে আভা আনতে ‘কাড়া’ বানানোর কৌশল শিখে নিন।
হলুদ
দু’কাপ জল ফুটতে দিন। তার মধ্যে যোগ করুন আধ ইঞ্চি থেঁতো করা কাঁচা হলুদ বা ১ টেবিল চামচ হলুদগুঁড়ো। হলুদে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বার করতেও সাহায্য করে এমন ডিটক্স পানীয়। লিভার ভাল থাকলে, ত্বকে এমনিতেই জেল্লা থাকবে। তা ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
তুলসী এবং আদা
ফুটন্ত জলে কয়েকটি তুলসী পাতা এবং আদা যোগ করুন। তুলসী পাতারও গুণ অনেক। এতে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। আদা হজমে সহায়ক, পেটফাঁপা কমায়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে, ত্বকে আভা আপনি আসবে।
পাতিলেবুর রস
অম্বলের ধাত না থাকলে যোগ করতে পারেন পাতিলেবুর রস। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর মধু। ত্বক ভাল রাখতেও ভিটামিন সি কার্যকর।তবে পানীয়টি একটু ঠান্ডা হওয়ার পরে পাতিলেবুর রস মেশাতে হবে।
মধু
স্বাদের জন্য তো বটেই, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার জন্যও পানীয়ে মধু মেশাতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান।শরীর যদি ভাল থাকে, ত্বকও তরতাজা থাকবে।
সকালে এক বার এক কাপ এই পানীয়টি খাওয়া যায়। নিয়মিত খেলে শরীর ভাল থাকবে, যত্নে থাকবে ত্বকও।