গত কয়েক বছরে রূপচর্চার জগতে কোরিয়ানদের নিয়েই চর্চা। তাঁদের নির্মেদ, সুগঠিত শরীর, দাগহীন ত্বকের দীপ্তি, মসৃণ চুলের আকর্ষণ এতটাই যে, বিশ্বের বহু দেশের লোকজনই চোখ ফেরাতে পারেন না। বিশেষত ওটিটি মঞ্চে কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ়ের দৌলতে সেই সৌন্দর্যের কথা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এমন সৌন্দর্যের অধিকারীও হতে চান। সে কারণেই ভারতেও কোরিয়ার প্রসাধনী, রূপটানের কৌশল নিয়ে চর্চা। কোরিয়ানরা চুলের যত্নে চালের জল ব্যবহার করেন, এ কথা অনেকেই জানেন। সেই চালের জলের সঙ্গে এ দেশে সহজলভ্য, এমন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন চুলের সিরাম। সঠিক প্রয়োগে চুল হবে ঘন, মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
আরও পড়ুন:
চুলের সিরামের কার্যকারিতা কী?
মুখের সিরাম যেমন ত্বকের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা জোগায়, চুলের সিরামও তাই। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলেন, চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকলে রুক্ষ ভাব যেমন থাকবে না, তেমনই ডগা ফাটার সমস্যাও কমবে। সিরাম চুলকে রোদের তাপ, ধুলো, ময়লা থেকে সুরক্ষা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত চুলে জেল্লা আনতেও সাহায্য করে। রুক্ষ চুলে খুব সহজে জট পড়ে যায়, দেখতেও ভাল লাগে না। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতেও সিরাম অত্যন্ত কার্যকর।
কী ভাবে বানাবেন কোরিয়ান হেয়ার সিরাম?
চালের জলের পাশাপাশি হোহোবা অয়েল বা আর্গন অয়েল খুব উপকারী। রোজ়মেরিও কেশচর্চায় কাজে লাগে। রোজ়মেরি মাথার ত্বকে মালিশ করলে চুলকানি, খুশকি, রুক্ষ চুল, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর হয়। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর হোহোবা অয়েল। গুণের জন্য আর্গন অয়েলকে ‘তরল সোনা’ বলেন অনেকে। চালের জল চুলের বাড়বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। গ্লিসারিন চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক। এই সব উপকরণ দিয়েই বানাতে হবে সিরাম। এ জন্য লাগবে—
২ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ চাল ভেজানো জল, ১ টেবিল চামচ আর্গন অয়েল বা হোহোবা অয়েল, ৪-৫ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন। সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে একটি পরিষ্কার কাচের শিশিতে রেখে দিতে হবে।
ব্যবহারবিধি: শ্যাম্পু করা চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর ড্রপারের সাহায্য মাথার ত্বকে কয়েক ফোঁটা দিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে তা মাসাজ করতে হবে। চুলের উপর যেন সিরামের পরত লেগে থাকে।