পেটে যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা— ঋতুস্রাবের বেশ কিছু দিন আগে থেকে এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এগুলি ছাড়াও ঋতুস্রাবের সময় এগিয়ে আসছে তা জানান দিতে ত্বকে ব্রণ বেরোতে শুরু করে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এমনিই সারা বছর ব্রণর মরসুম। তার উপর সমস্যা বাড়ে ঋতুস্রাবের সময়ে। ঋতুস্রাব যত দিন চলবে ব্রণগুলির মেয়াদও ততদিন। ঋতুকালীন সময়ে হরমোনে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত এমন ঘটে। ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ অর্থাৎ পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেও কিন্তু ঋতুস্রাবকালীন সময়ে ব্রণ হতে পারে। পুজোর সময় এমন হলে কিন্তু মুশকিল। সু্ন্দর পরিপাটি করে সাজলেন, কেতাদুরস্ত পোশাক পরলেন অথচ মুখভর্তি ব্রণ— সাজের মার্ধুয নষ্ট হয়ে যাবে এক নিমেষে। এমন যদি হয়ে থাকে, তা হলে ঘরোয়া উপায়ে তাড়াতে পারেন ব্রণ। রইল কয়েকটি টোটকা।
ঋতুস্রাবের সময়ে ব্রণর সমস্যা ভোগায় কেন?
ঋতুস্রাবের মোটামুটি ৭-১০ দিন আগে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা সারা মাস এক থাকলেও, ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে সেটি সরাসরি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে প্রোজেস্টেরন হরমোনেরও তারতম্য হয় ঋতুকালীন সময়ে।
আরও পড়ুন:
ঋতুকালীন ব্রণ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী?
১) বেশি করে জল খেতে হবে ওই সময়টাতে। পর্যাপ্ত জল খেলে ত্বক আর্দ্র থাকবে, ফলে ব্রণ, ফুসকুরির সমস্যা হবে না।
২) ত্বক তৈলাক্ত হয়ে গিয়েই যেহেতু ব্রণর সমস্যা হয়, তাই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা জরুরি। ফেসওয়াশ কেনার সময় দেখে নিন তা অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ কি না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) অনেকেই ব্রণ খুঁটে ফেলেন। বার বার ব্রণ স্পর্শ করলে বা ব্রণ সারা ক্ষণ পরখ করে দেখলে ব্রণের জীবাণু ত্বকের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ব্রণ তো কমেই না, উল্টে বেড়ে যায়।
৪) অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। ভাজাভুজি, নরম পানীয়, চকোলেট, মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। পাতে রাখুন শাকসব্জি ও প্রচুর পরিমাণে মরসুমি ফল। এই সময় যত পারবেন ফাইবার জাতীয় খাবার খান। চিনি কম খান, কফি খাওয়ার মাত্রা কমান। হালকা মেকআপ ব্যবহার করুন।