Advertisement
E-Paper

বাইরের ধুলো-ধোঁয়া, স্নানের জল থেকেও চুলের ক্ষতি হতে পারে, তা প্রতিরোধের উপায় কী?

যে জল দিয়ে রোজ স্নান করছেন তা যদি দূষিত হয়, চুল পড়া কেউ আটকাতে পারবে না। আবার, ভিজে চুলে বাইরে গিয়ে সেখানকার ধুলো-ময়লা মাথার ত্বকে জমলেও ক্ষতি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০:৪৭
Image of Hair Fall

সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের মতো চুলেরও কিন্তু ক্ষতি করে। ছবি: সংগৃহীত।

চুল ভাল রাখতে দামি তেল থেকে ঘরোয়া টোটকা— সবই প্রয়োগ করে দেখে নিয়েছেন। প্রথম কয়েক দিন সেই সব পদ্ধতি কাজ করলেও তার মেয়াদ বেশি দিন নয়। শারীরিক সমস্যা থাকলে, বেশি রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করলে চুল পড়বেই। তবে, চুল পড়ার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল দূষণ। যে জল দিয়ে রোজ স্নান করছেন তা যদি দূষিত হয়, চুল পড়া কেউ আটকাতে পারবে না। আবার, ভিজে চুলে বাইরে গিয়ে রাস্তার ধুলো-ময়লা মাথার ত্বকে জমলেও ক্ষতি হবে। তা ছাড়া রোদ তো আছেই। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের মতো চুলেরও কিন্তু ক্ষতি করে। সেই ক্ষতি আটকাবেন কী করে?

১) চুল ঢেকে বাইরে বেরোন:

বাইরের দূষণ থেকে চুল সুরক্ষিত রাখার সহজ উপায় হল তা ঢেকে রাখা। তাই বাইরে বেরোলে স্কার্ফ, টুপি কিংবা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা যেতে পারে। বায়ুবাহিত ব্যাক্টেরিয়া চুলের মধ্যে গিয়ে, মাথার ত্বকে সংক্রমণ ঘটানোর সুযোগ পাবে না।

২) সালফেট বিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে:

বায়ুদূষণের প্রভাব থেকে চুল সুরক্ষিত রাখতে শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই শ্যাম্পুর মধ্যে যদি সালফেট থাকে, তা হলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই শ্যাম্পু কেনার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন সালফেট-মুক্ত হয়।

৩) নিয়মিত মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে:

অনেকেই মনে করেন, ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয়। এ কথা যে একেবারে ভুল, তা নয়। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয় মাথার ত্বকে ঘাম, ধুলো-ময়লা জমলে। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বেছে নিতে পারেন। চুল ভাল রাখতে সপ্তাহে তিন দিন শ্যাম্পু করাই যেতে পারে।

৪) রোদ লাগতে দেওয়া যাবে না:

দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই বাইরে বেরোনোর আগেই সানস্ক্রিন মেখে নেন। তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি কিন্তু একই ভাবে চুলেরও ক্ষতি করে। তাই চুলের ক্ষতি এড়াতে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করুন, যেগুলি অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে চুল সুরক্ষিত রাখে।

৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে:

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের গোড়ার কথা হল হাইড্রেশন। অর্থাৎ শরীরে জলের অভাব হতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য কী করতে হবে? জল তো বটেই, সারা দিন ধরে নানা রকম পানীয় খেতে হবে। যা শরীরকে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি তা থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করবে।

Hair Care Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy