রোদে পুড়ে মাথার ত্বকেও হতে পারে ‘সানবার্ন’। ত্বকে যেমন কালচে দাগছোপ পড়ে, হিট র্যাশ দেখা দেয়, তেমনই হতে পারে মাথাতেও। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি মাথার ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হল, সেই চর্মরোগ থেকে ত্বকের ক্যানসারের কারণও হতে পারে। তাই গরমের দিনে মাথার ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।
মাথার ত্বকে কী ধরনের চর্মরোগ হয়?
মাথার ত্বক বেশি সংবেদশনশীল হয়। তাই দীর্ঘ সময়ে রোদ লাগলে ‘সোলার ডার্মাটাইটিস’ হতে পারে। ‘জামা ডার্মাটোলজি’ নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সোলার ডার্মাটাইটিস হল প্রদাহজনিত রোগ। একে বলা হয় ‘ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরি রিয়্যাকশন’। এমন এক ধরনের চর্মরোগ, যাতে মাথার ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দেয়। যন্ত্রণা হতে থাকে। মাথার ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায় ও চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকেরই মাথার ত্বকে ফোস্কা পড়তে থাকে, ত্বক শুকিয়ে খোসার মতো উঠতে শুরু করে।
সোরিয়াসিসের সমস্যা রয়েছে যাঁদের অথবা আগে থেকেই ত্বকে অ্যালার্জি, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস আছে, তাঁদের এই চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। মাথার ত্বকে র্যাশ হলে অনেকেই ভাবেন, তা মলম লাগালে সেরে যাবে। কিন্তু পরবর্তীতে তা থেকেই ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, সোলার ডার্মাটাইটিস কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের ক্যানসারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে বাঁচবেন?
১) রোদে বেরোলে মাথায় টুপি পরতে হবে বা ওড়না জড়িয়ে রাখতে হবে, যাতে মাথার ত্বকে দীর্ঘ সময় রোদ না লাগতে পারে।
২) স্ক্যাল্প সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাথার ত্বকেও মাখতে পারেন।
৩) গরমের সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করাই ভাল, খুব বেশি গরম জল মাথায় ঢাললে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
৪) মাথায় চুলকানি বা র্যাশ হলে এক চা চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে মাথায় মাখলে উপকার হবে। ত্বকের প্রদাহ কমবে।
৫) ১ চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। তার পর ঠান্ডা জলে স্নান করে নিতে হবে। ত্বকের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।
৬) ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক রুক্ষ চুলের জন্য খুব উপকারী। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে মাথার ত্বক ভাল থাকবে।