পুজোর আগে মুখের ত্বক যখন ঝকঝকে মসৃণ হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি, ঠিক তখনই মুখে শুরু হবে ব্রণের আনাগােনা। যাঁরা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের কাছে এমন ঘটনা একেবারেই নতুন কিছু নয়। কারণ তাঁরা জানেন, ঠিক সেই সময়েই গালে ব্রণ দেখা দেবে, যখন আপনি চান না। কিন্তু ব্রণের সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। যাঁদের ত্বকে প্রদাহের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ব্রণ লালচে এবং বিষাক্ত হয়ে যাওয়া প্রবণতা থাকে বেশি। সাধারণত এই ধরনের ব্রণ কমানোর জন্য বরফের ব্যবহার করতেই বলা হয়। তবে তা ছাড়াও বাড়িতে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলে ব্রণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহারের আগে ত্বকের একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত যাতে কোনো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া না হয়। পাশাপাশি, ব্রণের সমস্যা যদি শারীরিক কোনও অসুস্থতার কারণে হয়ে থাকে, তবে তার চিকিৎসা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
ব্রণের সমস্যা মেটাবেন কী ভাবে?
১. টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে যা ব্রণের কারণ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে এবং লালভাব ও ফোলা কমানোর জন্য খুবই কার্যকর। একটি তুলার প্যাডে সামান্য টি ট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি ব্রণের উপর লাগান। তবে এটি সরাসরি ব্যবহার না করে জল বা অন্য কোনো ক্যারিয়ার অয়েল, যেমন নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো।
২. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং সালফার ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। সরাসরি গাছ থেকে বা বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল ব্রণের উপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে শীতল ও নরম রাখে।
৩. হলুদ ও মধুর প্যাক: হলুদে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ থাকে। আর মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এই দুটি উপাদান মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ব্রণের উপর লাগালে প্রদাহ কমে এবং ব্রণ দ্রুত সেরে যায়।
৪. লেবুর রস: লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রস সরাসরি লাগালে ত্বকে জ্বালা হতে পারে। তাই এটি জলের সাথে পাতলা করে বা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. গরম জল দিয়ে সেক: একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে নিন। অতিরিক্ত জল চিপে ফেলে দিন। এরপর এটি ব্রণের উপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। এটি ব্রণের ফোলা এবং লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
৬. গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। একটি গ্রিন টি ব্যাগ গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ঠান্ডা করে ব্রণের উপর ৫-১০ মিনিট ধরে রাখুন। এটি মুখের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।