ঘি কেবল রান্নাতেই নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও কাজে লাগে। মুখে ঘি মাখলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে, এমন বলেন অনেকেই। কমবয়সিদের মধ্যে এখন ঘি দিয়ে রূপচর্চা করার নতুন ধারা চালু হয়েছে। দামি ক্রিম বা বাজারচলতি ফেসপ্যাকের বদলে ঘরেই ঘি দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে মাখছেন অনেকে। ঘিয়ে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই যা ত্বকের জন্য ভাল। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের যে কোনও সংক্রমণও প্রতিরোধ করতে পারে। ঘি যদি নিয়ম মেনে মাখা যায়, তা হলে সেটি প্রাকৃতিক 'অ্যান্টি-এজিং' উপাদান হিসেবেও কাজ করে। বলিরেখা দূর করতে পারে। তবে রূপচর্চায় ঘি ব্যবহারের নিয়ম আছে। কী ভাবে মাখবেন, তার কিছু উপায় রইল।
ত্বকের পরিচর্যায় ঘি ব্যবহারের নিয়ম
ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে
রাতে শোয়ার আগে হাতে ২-৩ ফোঁটা খাঁটি ঘি নিন। তার পর বৃত্তাকার গতিতে মুখে মালিশ করুন। মিনিট পনেরো রেখে উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা জোগায়, রুক্ষতা দূর করে এবং সকালে ত্বক অনেক বেশি নরম ও সতেজ দেখায়।
আরও পড়ুন:
চোখের নীচের কালি তুলতে
এক চামচের মতো ঘি নিয়ে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। এই মিশ্রণ চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন। সারা রাত রেখে দিতে পারলে ভাল হয়। নিয়মিত কয়েকদিন করলেই চোখের তলার কালি উঠে যাবে।
র্যাশের সমস্যা দূর করতে
ঘি খুব ভাল স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ঘিয়ের সঙ্গে চিনি, লেবুর রস, হলুদ এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এতে উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা দূর হবে। ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যাও কমবে।
ফেসপ্যাক হিসেবে
আধ চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক চামচ বেসন ও সামান্য দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। স্নানের আগে ভাল করে মুখে মালিশ করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই দাগছোপ, বলিরেখার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।