চুল ভাল রাখতে কত কিছুই না করছেন! কিন্তু লাভের লাভ কিছুই তেমন হয় না। চুল পড়া বন্ধ হলে খুশকি থেকে যায়। আবার খুশকির জন্য রাসায়নিক দেওয়া শ্যাম্পু মাখলে মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে। গরমের দিনে তো আরও বেশি সমস্যা। মাথায় ঘাম জমে চুল তৈলাক্ত হয়ে যায়, তার উপরে রুক্ষ হয়ে জট পড়তে থাকে। নামী ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, তেল, হেয়ার সিরাম সব ব্যবহার করে দেখে নিয়েছেন। তাতে বিশেষ উপকার হয়নি। তা হলে উপায়?
কেশসজ্জা শিল্পীরা বলেন, চুলে রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করা, খুশকি দূর করা ও চুলের জেল্লা ফেরানো— এই তিন সুবিধা একসঙ্গে পেতে পারেন পুদিনা থেকে। পুদিনা পাতা যেম পেট ভাল রাখে, তেমনই এটি চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। শুধু খেলে হবে না, বিশেষ পদ্ধতিতে মাথায় মাখতেও হবে। ভিটামিন এ, সি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ পুদিনা চুলের গোড়া মজবুত করে। কোলাজেন তৈরি করে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে পারে। মাথার ত্বকের যে কোনও রকম সংক্রমণও দূর করতে পারে পুদিনা। গরমের সময়ে ঘাম জমে মাথার ত্বকে ব্রণ হয় অনেকের। সেই সমস্যাও দূর করতে পারে পুদিনা পাতা।
কী ভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন?
খুশকি দূর করতে
কয়েকটি পুদিনা পাতা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পিষে রস করে নিন। এর সঙ্গে অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। তার পর ভাল করে চুল ধুয়ে নিন। হালকা কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে।
আরও পড়ুন:
রুক্ষ চুল নরম করতে
পুদিনা পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে এক চা-চামচ মধু ও এক চা-চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ভাল করে চুলে মালিশ করতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করলে রুক্ষ চুল নরম হবে। চুলের জেল্লাও ফিরবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে
এক কাপের মতো পুদিনা বাটার সঙ্গে দু’চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ স্নানের আগে চুলে মালিশ করে ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। তার পর চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল পড়ার সমস্যা যদি বাড়ে, তা হলে রোজ স্নানের আগে এই তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন।