শীত পড়তেই ত্বকের মতো চুলও রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? ডগা ফাটছে? সমাধান আছে হাতের কাছেই। মাত্র ২ উপকরণে তৈরি করুন চুলের স্প্রে। নিয়ম করে ব্যবহার করলে ফল মিলবে হাতেনাতে। মসৃণ হবে চুল। বাড়বে ঘনত্বও।
আদা এবং চালের জল— দুইয়ের গুণেই নরম হবে চুল, ফিরবে ঔজ্জ্বল্য। চুলের যত্নে চালের জলের ব্যবহার নতুন নয়। গবেষণায় প্রমাণিত না হলেও, চালের জল দিয়ে চুল এবং ত্বকের চর্চার রীতি বহু পুরনো। বরং এখন এগুলি নতুন করে চর্চার আলোয় এসেছে।
চালের জলে মেলে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন, যা চুলের জন্য উপকারী। তবে তার সঙ্গে ওই জলে রয়েছে ইনোসাইটল বা ভিটামিন বি-৭। তা চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে। চালের জলে রয়েছে স্টার্চ এবং কিছুটা পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড। চালের জল চুলে দিলে, রুক্ষ ভাব দূর হয়। চুল কিছুটা নরম হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ডগা ফাটার সমস্যাও কমে। অনেকে চাল ভেজানো জল মজিয়ে তার পরে ব্যবহার করেন। এতে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। মিশ্রণটি একটু অ্যাসিড জাতীয় হয়ে ওঠে, যা মাথার ত্বকের জন্য ভাল।
আদায় মেলে জিঞ্জেরল এবং শোগোল, যা রক্তবাহী নালিকার হালকা প্রসার ঘটিয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। চুলের ফলিকলে বেশি অক্সিজেন যায়।
কী ভাবে বানাবেন?
চালের জলে সামান্য একটু আদা থেঁতো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন।
ব্যবহারের পদ্ধতি: শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। তার পর তোয়ালে দিয়ে জল মুছে নিন বা চুল হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। তার পর স্প্রে করে মাথায় ২-৩ মিনিট মাসাজ করুন।
ভাল হয় মাসাজের পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে সেটি মাথায় জড়িয়ে নিলে। এতে গরম ভাপ মাথার ত্বকে লাগবে। ময়লা পরিষ্কার হবে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। এর পর আরও একবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার মাখতে হবে। সপ্তাহে এক বা দু’দিন এই স্প্রে-টি ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখা দরকার, এগুলি ঘরোয়া টোটকা। প্রাকৃতিক উপাদানের পু্ষ্টিগুণ কাজে লাগিয়ে চুল ভাল করার প্রচেষ্টা। তবে কারও প্রচুর চুল ঝরলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। স্প্রে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা প্রয়োজন। মাথার অল্প একটু অংশে স্প্রে করে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। জ্বালা, চুলকানি না হলে বুঝতে হবে মিশ্রণটি ব্যবহার করা যেতে পারে।