কাঁচা হলুদের বদলে গুঁড়ো হলুদের দিয়েও কিন্তু একই ভাবে ত্বকচর্চা করা যেতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
সেই কোন প্রাচীন কাল থেকে ভারতীয়রা ত্বকচর্চায় হলুদ ব্যবহার করে আসছেন। হলুদের নানা উপকারিতা আছে। এটি যেমন সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা হয়। আবার নানা ধরনের প্রসাধনীতেও হলুদ ব্যবহার করা হয়। এই হলুদে আছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। যা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন ত্বকচর্চার ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করাই ভাল। কিন্তু ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সময়ের অভাবে যদি কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে না-ও পারেন, সে ক্ষেত্রে গুঁড়ো হলুদ দিয়েও কিন্তু একই ভাবে ত্বকচর্চা করা যেতে পারে।
কিন্তু ত্বকের জন্য গুঁড়ো হলুদ দিয়ে প্যাক কী ভাবে তৈরি করবেন?
তৈলাক্ত ত্বকে যদি ব্রণর সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে একটি বাটিতে সামান্য পরিমাণে গুঁড়ো হলুদ নিন। এর মধ্যে মেশান সামান্য মধু এবং দই। চাইলে দইয়ের পরিবর্তে কাঁচা দুধও মেশাতে পারেন। মুখে এই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন মিনিট কুড়ি। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
সারা দিন রোদে ঘুরে ত্বকের হারানো জেল্লা যদি ফিরে পেতে চান, সে ক্ষেত্রে একটি বাটিতে ২ চামচ বেসন নিন। এর মধ্যে মেশান আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২ চা চামচ মধু এবং ডাবের জল। এই মিশ্রণ ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে মেখে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
রোদে তেতে পুড়ে এসে যদি মুখ যদি জ্বালা করে বা র্যাশ বেরোয় তখনও কিন্তু হলুদের প্যাক ব্যবহার যায়। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ দই নিন। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং মধু। এ বার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। ঠান্ডা অবস্থায় মুখে মেখে নিন। মুখ লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালা ভাব অনেকটাই কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy